মসজিদটি কয়েকবার মেরামত করা হলেও ঝুঁকি কাটছে না। নামাজ আদায়ের সময় মসজিদের মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মসজিদের সামনের রাস্তা ও পাশের মাঠে নামাজ আদায় করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) থেকে মসজিদটি পুনঃনির্মাণের উদ্দেশে ভাঙা হচ্ছে। জানা যায়, প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মসজিদটি নির্মিত হবে। স্থানীয় মুসল্লি ও বিত্তবানদের সহযোগিতায় নিমার্ণ তহবিল গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রাচীন এই মসজিদটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাস ও বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে মুসল্লিরা। কুমিল্লার ইউনিটেক আর্কিটেক প্রকৌশলী ফার্মের ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমানের পরিকল্পনায় চলছে নির্মাণ কাজ। এতে বিভ্রান্তি না হওয়ার জন্য মসজিদ কর্তৃপক্ষ জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ মার্চ) বিকেলে স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে বলে জানা যায়, এলাকায় বসতি বেড়েছে। নামাজের সময় মসজিদে জায়গা হয় না। মসজিদটি জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে থাকায় পথচারীরাও নামাজ আদায় করেন। এসময় নামাজ আদায় করতে হয় মসজিদের পাশে মাঠে কিংবা রাস্তায়। মসজিদটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এ ভোগান্তি দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
জানা যায়, ১২০৬ বঙ্গাব্দ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়ক সংলগ্ন মসজিদটি নির্মিত হয়। এতে একটি বিশাল আকৃতির গম্বুজ রয়েছে। যে কারণে এটি ‘মটকা মসজিদ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। যার ভিতর ৩০জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। জুমার নামাজের সময় খোলা মাঠ ও রাস্তায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
পুরনো আদলে আধুনিক কারুকার্যে মসজিদটি নির্মাণ করা হলে ৩০ জনের জায়গা ২৭৫ জন মুসল্লি এ সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানান দায়িত্বরত প্রকৌশলী।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, পুরনো ঐতিহ্য ধারণ করে মসজিদটি পুণঃনির্মাণ করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। কুমিল্লার ইউনিটেক আর্কিটেক প্রকৌশলী ফার্মের ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমানের পরিকল্পনায় মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। তাই প্রাচীন গম্বুজটি ভাঙা হচ্ছে। এতে একদিকে ঝুঁকির ভয় থাকবে না। অন্যদিকে ঐতিহ্য রক্ষায় গম্বুজটিকে আধুনিকভাবে নির্মাণ করা হবে।
কমিটির সহ-সভাপতি আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কয়েকবার পরিচালনা কমিটির বৈঠকের পর গম্বুজটি পুণঃনির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। এতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কিছু নেই।
ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২০০ বছরের আগের পুরনো গম্বুজটিতে নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ ছিলো। মসজিদ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে নির্মাণ কাজ চলছে। প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক কারুকার্যে বৃহৎ আকারে গম্বুজটি নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
এসআর/জিপি