আদায়স এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তকে ‘একটি বিপজ্জনক উদাহরণ’ এবং ‘ইবাদতের স্বাধীনতার ওপর কাপুরুষোচিত হস্তক্ষেপ’ বলে অবহিত করেছেন।
ফিলিস্তিনের মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘মসজিদটির বিরুদ্ধে ইসরাইলি দখলদার কর্তৃপক্ষ ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের এমন অব্যাহত আইন লংঘনের ঘটনা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, তারা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে রমজান মাসের এক সকালে ২৯ জন ইবাদতরত মুসলমানকে গুলি করে হত্যা করে ইসরাইলি-আমেরিকান ইহুদি বারুক গোল্ডস্টেইন। যা হেবরন হত্যাকাণ্ড নামে বেশি পরিচিত।
তখন থেকে ইসরাইল মসজিদটিকে বিভক্ত করে রেখেছে। মসজিদের ৪৫ শতাংশ জায়গা মুসলমানদের জন্য রেখে ৫৫ শতাংশ জায়গা ইহুদিদের থাকার জন্য দখল করে নেয় ইসরাইল।
অনেকে বিশ্বাস করেন, এই মসজিদটি আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর রওজাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে।
ইবরাহিমি মসজিদটি পুরাতন জেলা শহর হেবরনে অবস্থিত। যেখানে প্রায় ৪০০ ইহুদি বাসিন্দা প্রায় দেড় হাজার জন ইসরাইলি সৈন্যের সুরক্ষায় বসবাস করে আসছে।
অন্যদিকে গাজা উপত্যকার ওপর থেকে ইসরাইলের অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ গণ আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়।
৩০ মার্চ ফিলিস্তিনের ভূমি দিবস উপলক্ষে গাজা সীমান্তে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে ইসরাইলের সেনারা গুলি চালালে ২০ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি শহিদ হন। এরপর ৬ এপ্রিল শুক্রবারও একই ধরনের কর্মসূচিতে ইহুদিবাদী সেনারা গুলি চালিয়ে ১০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এ নিয়ে সারা বিশ্বে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমালোচনা চলছে।
-মিডল ইস্ট আই অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এমএইউ/