দূর দূরান্ত থেকে এ মিনারটি দেখতে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন। মসজিদের তিন পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সর্বোচ্চ এবং অন্যতম সুন্দর মিনার দেখে মুগ্ধ হন সবাই।
একটি মিনার ছাড়াও মসজিদটিতে রয়েছে চারটি গম্বুজ। এ মিনার থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে এলে মুসল্লিরা ইবাদত বন্দেগীর নুরানি জগতে প্রবেশ করতে ছুটে আসেন তালাবওয়ালা জামে মসজিদে।
খুলনা মহানগরীর মুসলমানপাড়ায় অবস্থিত জামি’আ ইসলামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার তালাবওয়ালা জামে মসজিদের প্রধান গেইটকে বলা হয় ‘তালাবওয়ালা শাহী গেইট’। মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এ অঞ্চলের বিখ্যাত দানবীর মরহুম আব্দুল হাকীম জোমাদ্দার।
ইসলামের সৌন্দর্যবোধ ও সৌকর্যকে অনুসরণ করে নির্মিত খুলনার জামি’আর জামে মসজিদ। এ মসজিদের সামনে ও পেছনে রয়েছে অসংখ্যা সুপারি ও নারিকেল গাছ। প্রকৃতির এ সৌন্দর্য ও গাছের ছায়া মুসল্লিদের মনে বইয়ে দেয় প্রশান্তির সুবাতাস।
রাতে তালাবওয়ালা শাহী গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে বর্ণিল আলোকচ্ছটার বিকিরণ নজর কাড়ে সবার। আঁধারে আলোর রৌশনিতে জামি’আর জামে মসজিদের চারপাশ এক মোহনীয় পরিবেশ তৈরি করে।
২শ’ ২৬ ফুট সুউচ্চ মিনারে রাতে একটিমাত্র উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক বাতি দূর-দূরান্ত থেকেও সবার মন ছুঁয়ে দেয়।
মসজিদটিতে পবিত্র রমজানে দুই ধরনের তারাবির নামাজ হয়। এক হলো ৬ দিনে খতম তারাবি; দুই হলো ২৭ দিনে খতম তারাবি।
মসজিদের খতিব ও ইমাম মাওলানা মোশারফ হোসেন জানান, প্রায় দুই হাজার মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৮
এমআরএম/এইচএ/