বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) হজক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়, নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে। গেটের পাশেই খোলা হয়েছে তথ্যকেন্দ্র।
এদিন তথ্যকেন্দ্র ও কাউন্টারগুলোতে ছিল দীর্ঘ লাইন। কেউ কোনো ধরনের অসুবিধায় পড়লে স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের সহযোগিতা করছেন। এর আগে ১১ জুলাই আশকোনায় হজ অফিসে হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হজক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, এবছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ পালন করতে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৬ হাজার ৭৯৮ জন আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার।
এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫২৮টি হজ এজেন্সি হজের কার্যক্রম পরিচালন করছে। যাত্রীদের বহনের জন্য আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ার লাইনস। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ ১৮৭টি ফ্লাইটে ৬৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং সৌদি এয়ারলাইনসের ১৮৮টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ৮৩১ জন যাত্রী পরিবহন করবে।
হজক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার আমাদের প্রথম হজ ফ্লাইট ঢাকা ছাড়বে। ওইদিন সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। এরপর দ্বিতীয় ফ্লাইটটি যাবে সকাল ১১টায়।
কি ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এখন সবাই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছেন। এখন পর্যন্ত আমরা বলতে পারি শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন। হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ১৫ আগস্ট। আর হজ পালন শেষে ২৭ আগস্ট প্রথম ফিরতি ফ্লাইট জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
ইএআর/এএ