রোববার (১৫ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৮৮ জন যাত্রীর বিপরীতে ভিসা হয়েছে মাত্র ৩১ হাজার ৪৭১টি।
ভিসা প্রসেসিংয়ের ধীরগতির কারণে গতবারের মতো ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন অনেক যাত্রীরা।
তাদের মতে, আমাদের হজ উপলক্ষে সব টাকা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যাত্রার আগ মুহূর্তে আমরা ভিসা ও টিকিট হাতে পায়নি।
সাইফ ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (১৬ জুলাই) আমার বাবার ফ্লাইট কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা ভিসা ও টিকিট হাতে পায়নি। আজ দেওয়ার কথা কিন্তু কখন পাবো জানি না। নুরুল ইসলাম নামে এক হজযাত্রী বাংলানিউজকে জানান, সৌদি এয়ারলাইনসে রোববার দুপুরে আমার ফ্লাইট। এখন পর্যন্ত আমি ভিসা পায়নি। ভিসার ক্ষেত্রে এজেন্সিগুলোর ধীরগতির কারণে এটা পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদত হোসেন তসলিম বাংলানিউজকে জানান, ভিসা জটিলতার কোনো সুযোগ নেই। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত ভিসা দেওয়ার, অনেকেই পেয়েছেন। বাকিরা খুব কম সময়ের মধ্যেই পাবেন। এক্ষেত্রে তিনি যাত্রীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
শাহাদত হোসেন তসলিম আরো জানান, এবার হজ যাত্রীদের বহনের জন্য আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ ১৮৭টি ফ্লাইটে ৬৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৮৮টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ৮৩১ জন যাত্রী পরিবহন করবে। হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ১৫ আগস্ট। আর হজ পালন শেষে ২৭ আগস্ট প্রথম ফিরতি ফ্লাইট জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
আগামী ২৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লাইটে এখনও প্রায় ১০ হাজার হজ টিকিট অবিক্রিত রয়েছে। এ কারণে বিমানের পক্ষ থেকে সব হজ এজেন্সিকে হজযাত্রীদের দ্রুত টিকিট সংগ্রহের অনুরোধ করেছে।
এ বিষয়ে হজক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার ( ১৪ জুলাই) সৌদি অ্যাম্বাসি বন্ধ থাকার কারণে আমাদের ভিসার হয়নি।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে ৮ হাজার পাসপোর্ট পাঠিয়েছি বিকেলের মধ্যেই আশা করছি সেগুলোর ভিসা চলে আসবে। এরপর আমাদের কাছে যেসব পাসপোর্ট আসবে সেগুলো আবারও সৌদি অ্যাম্বাসিতে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ভিসা পাওয়াটা ধারাবাহিক ব্যাপার। আবেদনের ওপর এটা নির্ভর করে। তবে আশা করি গতবারের মতো হবে না। এখনও সময় আছে ভিসার কাজ যথাসময়ে শেষ হবে।
বসংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
ইএআর/এএটি