হজের অংশ হিসেবে মিনা, আরাফাত ময়দান, মুজদালিফা ও মক্কায় পাঁচদিন অবস্থান করবেন পবিত্র হজব্রত পালনে যাওয়া মুসল্লিরা।
এর আগে সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়ত করে মিনার উদ্দেশে রওনা হন হজযাত্রীরা।
যাত্রাপথে তাদের মুখে ছিলো ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’।
এদিকে মিনা এখন যেন তাঁবুর শহর। যেদিকে চোখ যায়, শুধু তাঁবু আর তাঁবু। এসব তাঁবুতে প্রত্যেকের জন্য আলাদা জিনিসপত্র বরাদ্দ রয়েছে।
নিজ নিজ তাঁবুতে পৌঁছে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন রয়েছেন মুসল্লিরা।
রোববার (১৯ আগস্ট) অর্থাৎ ৮ জিলহজ হজযাত্রীরা মিনায় অবস্থান করবেন। পরদিন ৯ জিলহজ (২০ আগস্ট, সোমবার) ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন তারা এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন।
পরে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ (মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট) ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন।
হাজিরা মিনায় বড় শয়তানকে পাথর মারবেন, কোরবানি দেবেন, মাথার চুল কামাবেন। এরপর মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন।
তাওয়াফ, সাঈ শেষে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ বুধবার ও বৃহস্পতিবার) অবস্থান করবেন। সেখানে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা।
প্রত্যেক শয়তানকে ৭টি করে পাথর মারতে হয়। মসজিদে খায়েফের থেকে মক্কার দিকে আসার সময় প্রথমে জামারায় সগির বা ছোট শয়তান, এরপর জামারায় ওস্তা বা মেজ শয়তান, এরপর জামারায় আকাবা বা বড় শয়তানকে পাথর মারতে হবে।
সৌদি আরবে গরম বিরাজ করছে। হাজিদের কথা চিন্তা করে মিনার তাঁবুগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁবুগুলো দেখতেও একই রকম, এজন্য অনেক হাজির পক্ষে নিজের তাঁবু চিনে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে হজযাত্রীদের জন্য সহায়ক মিনার তাঁবু নম্বরসহ মানচিত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
হজ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য www.hajj.gov.bd এ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এমএ/