তিনি বলেছেন, এরই মধ্যে জাতীয় ঈদগাহের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার জাতীয় ঈদগাহে কম বেশি এক লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
সোমবার (২০ আগস্ট) সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে মেয়র সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, ঈদের নামাজের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বজ্র প্রতিরোধক ব্যবস্থাও থাকছে। থাকবে বিনামূল্যে নিরাপদ পানির বোতলের ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, তাছাড়া সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ঈদের জামাত আয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
নির্বিঘ্নে জাতীয় ঈদগাহে নামাজের জন্য মুসল্লিদের আহ্বান জানিয়ে মেয়র দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জাতীয় ঈদগাহে ২ লাখ ৭০ হাজার ২৭৭ দশমিক ৭৫ বর্গফুট এলাকায় ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বরেছেন, রোদ বৃষ্টি থেকে সুরক্ষা দিতেই এই ব্যবস্থা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে রয়েছে ১৪০টি অজুখানা, ১০০ টি ফ্লাড লাইট, ১০০ টি স্ট্যান্ড ফ্যান, ৭০০ টি সিলিং ফ্যান, ৭০০ টি টিউব লাইট, ৬০ টি জায়নামাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মুসুল্লিদের প্রবেশের জন্য তিনটি গেট খোলা থাকবে। থাকছে ৫৪০ বর্গফুট ডিজিটাল ব্যানার, লোকেশনসহ ১৮ বর্গমিটার ডিসপ্লে বোর্ড। সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয় ঈদগাহে এক সঙ্গে এক লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এর মধ্যে ৯৫ হাজার পুরুষ ও ৫ হাজার নারীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জায় নামাজ, ছাতা ছাড়া কেউ জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশ করতে পারবেন না। ঈদের দিন অর্থাৎ সকাল ৮ টায় জাতীয় ঈদগাহে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল সাড়ে ৮ টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হবে প্রথম জামাত।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এসএম/এমএ