আশুরার গুরুত্বপূর্ণ একটি বিশেষ দিক আছে। অনেক সময় সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করা হয় না।
মুস্তাদরাকে হাকেমে জাবির (রা.) জায়দ আম্মি থেকে বর্ণনা করেন, ‘ঈসা ইবনে মারয়াম আশুরার দিনে জন্মগ্রহণ করেন। ’ যদিও আল্লামা জাহাবি (রহ.) বলেন, এ বর্ণনার সনদ দুর্বল। (হাকেম, হাদিস নং : ৪১৫৫)
ইতিহাসে দেখা গেছে, মূর্তিপূজক আরবরাও এই দিনকে বিশেষ মর্যাদা দিতো। ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগে মক্কার কাফিররা এই দিনে কাবার গিলাফ পরিবর্তন করতো। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘সাহাবায়ে কেরাম রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার দিনে রোজা রাখতেন। সেদিন ছিল কাবাকে গিলাফ পরিধান করার দিন। যখন আল্লাহ রমজানের রোজা ফরজ করলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, যারা রোজা (আশুরার দিনে) রাখতে চায়, তারা রোজা রাখবে, আর যারা ছেড়ে দিতে চায়, তারা যেন ছেড়ে দেয়। (বুখারি, হাদিস নং : ১৫৯২)
এসব বর্ণনা ও ইতিহাসের আলোকে বোঝা যায়, আশুরা আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি নিদর্শন। সুতরাং বলা যায়, আশুরা আন্তঃধর্মীয় ঐক্য, সম্প্রীতি ও ধর্মীয় সহাবস্থানের শিক্ষা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এমএমইউ/এইচএ/