শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মহানগরীর আলতাপোল লেনের আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ট্রাস্ট ইমাম বাড়ি থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই একত্রে মাতম করতে থাকে।
শোক মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তৃতা করেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলীল রাজাভী।
তিনি বলেন, ১০ই মহররম ৬১ হিজরীর এই দিনে কারবালার তপ্ত মরুপ্রান্তরে নানার দ্বীনকে রক্ষা করতে গিয়ে ইমাম হোসাইন (আঃ) তার সঙ্গী-সাথীসহ তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে আল্লাহর পথে এ পর্যন্ত যারা শাহাদাতবরণ করেছেন তাদের মধ্যে হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) এর শাহাদাত ছিল অতুলনীয়। ইতিহাসে অনেক দুঃখজনক ঘটনাই স্মরণাতীতকাল থেকে ঘটে আসছে। কালের করালগ্রাসে সেই সব ঘটনা ধীরে ধীরে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যায়। কিন্তু কারবালার ঘটনা এতোই অনন্য যে যুগে যুগে এর স্মৃতি মানুষের মণিকোঠায় বার বার এসে ভাস্বর হয়ে উঠে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে কারবালার মর্মস্পর্শী ঘটনা মানব হৃদয়কে আরও জোরে নাড়া দিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আশুরার শিক্ষাই হলো জালিমদের বিরুদ্ধেও মজলুমদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া।
প্রতিবারের মতো মহররম উপলক্ষে আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ট্রাস্ট আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী শোক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পহেলা মহররম থেকে ১০ই মহররম পর্যন্ত আলোচনা করেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এমআরএম/আরআইএস/