এমন অধ্যাবসায় ও নিরন্তর সাধনার অধিকারীনি হলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরাত অঞ্চলের বাসিন্দা। তিনি তার আর্থিক, দীর্ঘ কায়িকশ্রম ও সাধনায় লিখিত পবিত্র কোরআনটি মসজিদে নববীর প্রাঙ্গণে অবস্থিত আল-কোরআন মিউজিয়ামে উপহার দিয়েছেন।
নাসিমা আখতার টানা ১৫ বছর কলম দিয়ে মখমলের কাপড়ের ওপর কোরআনের আয়াত নিয়মতান্ত্রিকভাবে লিখে গেছেন। এরপর ১৭ বছর কোরআনের আয়াত লিখিত কাপড়গুলো সযত্নে সেলাই করেছেন। এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর আল-কোরআন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের কাছে তা হস্তান্তর করেন।
আল-কোরআন মিউজিয়ামের মুখপাত্র ও জনসংযোগ ব্যবস্থাপক আবদুর রহমান আল-বান্না বলেন, ১০ খণ্ডে লিখিত বৃহৎ এ কোরআনটি দেখলেই বোঝা যায়, তিনি এটির পেছনে কী পরিমাণ শ্রম-সাধনা ও সময় ব্যয় করেছেন।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী গুজরাতের অধিবাসী এ নারী ১৯৮৭ সালের আগস্ট মাসে ৩০ বছর বয়সে এভাবে কোরআন লিখতে শুরু করেন। ৩২ বছরের দীর্ঘ সাধনায় গত জানুয়ারিতে লিপিবদ্ধের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেন।
তিনি মখমলের যে কাপড়ে লিখেন সেটির দৈর্ঘ্য ৩০০ মিটার। আর পুরো কোরআনে ব্যবহৃত কাপড়ের দৈর্ঘের পরিমাণ ২৫ হাজার মিটার। ফলে পুরো কোরআনকে ১০ খণ্ডে এবং প্রতি খণ্ডে তিন পারা করে বিন্যাস করা হয়েছে। প্রতি পারা লিখতে খরচ করা হয়েছে ২৪ পৃষ্ঠা করে। তবে শেষ পারাটি লিখতে ব্যয় হয়েছে ২৮ পৃষ্ঠা। প্রতি পৃষ্ঠায় ১৫ লাইন করে কোরআনের আয়াত রয়েছে। বাঁধাইকৃত ও সুবিন্যস্ত কোরআনটির দৈর্ঘ্য ৫৬ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ৩৮ সেন্টিমিটার। আর পুরো দশ খণ্ডের সম্মিলিত ওজন ৫৫ কেজি।
নাসিমা আখতার কোরআন লেখার মহৎ কাজটি করতেন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে এবং জোহর ও আছরের মধ্যবর্তী সময়ে। এছাড়াও তিনি প্রতিটি আয়াত লিখতেন পূর্ণাঙ্গ পবিত্রতা ও মনোযোগের সঙ্গে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এমএমইউ/আরএ