প্রতিষ্ঠাতা কুইলিয়াম একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও আইনজীবী ছিলেন। খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করা কুইলিয়াম ৩১ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং আবদুল্লাহ নাম ধারণ করেন।
কুইলিয়াম মৌলিকভাবে মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা হলেও তাকে অন্যান্যরা সহযোগিতা করেছেন। তন্মধ্যে হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভুত প্রাচ্যবিদ্যা শিক্ষার্থী গোতেলেইব উইলহেল্ম লেইটনার (Gottlieb Wilhelm Leitner) অন্যতম। তিনি লন্ডনের কিংস কলেজে মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতের ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে পড়াশোনর জন্য ব্রিটেনে আসেন। পরবর্তীতে তিনি কলেজে আরবি ও ইসলামী আইনের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
ব্রিটিশ স্থপতি উইলিয়াম আইজ্যাক মসজিদটির নকশা করেন। ইসলামী স্থাপত্যশৈলীর ব্যাপারে আইজ্যাক খুবই দক্ষ ও অভিজ্ঞ ছিলেন। অন্যদিকে ভারতের দেশীয় রাজ্য (Princely State) ভূপালের শাসনকর্তা বেগম সুলতান শাহজাহান মসজিদটির নির্মাণকাজে অর্থায়ন করেন। ফলে তখন তার নামেই মসজিদটির নামকরণ করা হয় ‘শাহজাহান মসজিদ’।
১৮৮৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর মসজিদটির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। ১৩০ জন দরিদ্র মুসলিম শিশুকে খাবার দেওয়ার মাধ্যমে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। বিলাসিতা ও আড়ম্বরতার বদলে মসজিদটি ইউরোপের প্রাচীনতম মসজিদ হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই করে নেয়। বর্তমানে কয়েকবারের সংস্কারে মসজিদটির পুরনো অবকাঠামোয় অনেকটা নতুনত্ব এসেছে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এমএমইউ/আরএ