বুধবার (০৯ জানুয়ারি) প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সাল রিয়াদের বিলাসবহুল প্রিন্স ফয়সাল হোটেলে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। খবর আরব নিউজের।
প্রতি বছর পাঁচটি বিভাগে (ইসলামের সেবা, ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, মেডিসিন এবং বিজ্ঞান) অসাধারণ সাফল্যের জন্য মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। এ বছর পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে সুদানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদরা রয়েছেন।
ইসলামের সেবা ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে সুদানের রাজধানী খার্তুমে অবস্থিত ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আফ্রিকা’।
আরবি ভাষা ও সাহিত্যের জন্য মনোনীত হয়েছেন মরোক্কোর প্রফেসর ড. আবদুল আলি মুহাম্মদ ওদগিরি এবং মিশরের প্রফেসর ড. মাহমুদ ফাহমি হিজাজি।
মেডিসিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছেন প্রফেসর বিজর্ন রেইনো ওলসেন এবং প্রফেসর স্টিভেন এল টিটেলবাম। তারা উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক অ্যালেন জোসেফ বার্ড এবং অধ্যাপক জন এম জে ফ্রেচ্যাট। রসায়নে অসামান্য অবদানের জন্য এ দুই মার্কিন বিজ্ঞানি মনোনীত হন।
ফ্রেচ্যাট জেদ্দাস্থ কিং আব্দুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, উদ্ভাবন ও অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।
কেএফপির সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল আজিজ আল-সুবাইল জানান, ইসলামী শিক্ষার জন্য যে পুরস্কার দেওয়া হয়, সেটা এবার বাতিল করা হয়েছে। কারণ, প্রার্থীদের সার্বিক কাজ পুরস্কারের জন্য মানোত্তীর্ণ হয়নি।
মক্কার গভর্নর ও সৌদির ‘আল-হারামাইন আশ-শরিফাইনের’ পরামর্শক প্রিন্স খালেদ এবার বিচারক কমিটির সভাপতিত্ব করেন। এই কমিটিতে বিশ্বের বিশিষ্ট মুসলিম ব্যক্তিরা রয়েছেন। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী পরিচিত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা কমিটিতে আছেন।
অতীতে যারা কিং ফয়সাল পুরস্কার পেয়েছেন তাদের অনেকেই পরবর্তীতে নোবেল পুরস্কারসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
‘কিং ফয়সাল প্রাইজ’র (কেএফপি) সূচনাযাত্রা হয় ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে। পিতার স্মৃতির স্মরণে বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের ছেলে-মেয়েদের উদ্যোগে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘কিং ফয়সাল ফাউন্ডেশনের’ (কেএফএফ) অন্যতম অংশ হিসেবেই কেএফপিকে সংযুক্ত করা হয়।
সর্বপ্রথম ১৯৭৯ সালে তিনটি বিভাগে (ইসলামের সেবা, ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য) এ পুরস্কারটি দেওয়া হয়। এর দুই বছর পর ১৯৮১ সালে দুইটি অতিরিক্ত বিভাগ (মেডিসিন ও বিজ্ঞান) চালু করা হয়। এরপর ১৯৮২ সালে প্রথম মেডিসিন বিভাগে এবং এর দুই বছর পরে বিজ্ঞানে বিজ্ঞানে পুরস্কার প্রদানের নিয়ম চালু করা হয়।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এমএমইউ/