উত্তর: রাসুল (সা.) এর শেখানো পদ্ধতিতে জিয়ারত করা উচিত। নবী কারীম (সা.) ও সাহাবা-তাবেয়ি থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
বুরাইদা (রা.) বলেন, যখন তারা কবর জিয়ারত করতে যেতেন রাসুল (সা.) তাদের শিখিয়ে দিতেন। তারা এভাবে বলতেন, উচ্চারণ : ‘আসসালামু আলাইকুম আহলাদ দিয়ারি মিনাল মুমিনিনা ওয়াল মুসলিমিন; ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু লালা-হিকুন, আসআলুল্লাহা লানা ওয়া লাকুমুল আফিয়াহ। ’
অর্থ: সব মোমিন ও মুসলিম কবরবাসীর ওপর সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরাও আপনাদের (মৃতব্যক্তিদের) সঙ্গে মিলিত হবো। আমরা আমাদের এবং আপনাদের ক্ষমার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি। (মুসলিম, হাদিস নং : ৯৭৫)
কবরের সামনে দাঁড়িয়ে সুরায়ে ফাতেহা, সুরা বাকারার শুরু ও শেষের দিকের আয়াতগুলো পড়ার বিধান তাবেয়িদের আমল থেকে পাওয়া যায়। বিখ্যাত তাবেয়ি আলা ইবনে লাজলাজ (রহ.) বলেন, “তার বাবা ইন্তেকালের আগে তাকে নসিহত করেছেন। হে ছেলে! আমার ইন্তেকালের পর যখন তোমরা আমাকে কবর দিবে তখন তোমরা আমাকে লাহদ (বোগলী) কবরে রাখবে এবং ‘বিসমিল্লাহি ও আলা সুন্নাতি রসুলিল্লাহ’ বলে সুন্দরভাবে মাটি দিবে। তারপর আমার মাথার কাছে সুরা ফাতেহা ও সুরা বাকারার শুরু ও শেষের অংশগুলো পাঠ করবে। কেননা আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমরকে এটা করতে দেখেছি। ” (তারিখে ইবনে মাঈন ২/৩৭৯, হাদিস নং : ৫২৩৮)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব, সহকারী মুফতি, জামিয়া রহমানিয়া সওতুল হেরা, টঙ্গী, গাজীপুর। সম্পাদক, আরবি ম্যাগাজিন মাসিক ‘আলহেরা’।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এমএমইউ