উত্তর: বিশ্বব্যাপী প্যাকেটজাত গোশতের ব্যাপক বাজার রয়েছে। বাংলাদেশে কম হলেও বিদেশে এর চাহিদা অনেক বেশি।
কিন্তু প্যাকেটজাত মাংসের ক্ষেত্রে—জন্তু হালাল কিনা, জন্তুর জবাইকারী মুসলিম নাকি অন্য ধর্মাবলম্বী, জন্তু জবাইয়ের সময় আল্লাহর নাম নেওয়া হয়েছে কিনা—এগুলো অজানা রয়ে যায়।
ইসলামী শরিয়তে হালাল জন্তুর বিবরণ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্তু হালাল করার প্রক্রিয়াও বলে দিয়েছে। এজন্য প্যাকেটজাত মাংসের ব্যাপারে যদি জানা থাকে, এই মাংস শরিয়তসম্মত পদ্ধতিতে মুসলিমের হাতে জবাইকৃত হালাল প্রাণির মাংস, তাহলে সেই মাংসগুলো খেতে কোনো অসুবিধা নেই।
কিন্তু প্যাকেটকৃত মাংসের ব্যাপারে যদি নিশ্চিতভাবে জানা না যায়, এটা মুসলিম নাকি অন্য ধর্মাবলম্বীর জবাইকৃত জন্তুর মাংস, তাহলে এমন অবস্থায় প্যাকেটজাত মাংস না খাওয়া জরুরি।
আরো সংক্ষেপে বললে, যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায় প্যাকেটজাত মাংস কোনো কাফের বা মুশরিকের জবাইকৃত জন্তুর, তাহলে এমন প্যাকেটজাত মাংস খাওয়া কোনোভাবেই বৈধ নয়।
অনুরূপভাবে কোনো মুসলমান বা প্রকৃত আহলে কিতাব (আসমানি কিতাবের অনুসারী) জবাই করে, কিন্তু শরিয়তসম্মত মাধ্যমে আল্লাহর নাম নিয়ে ধারালো চাকু বা এজাতীয় কিছু দিয়ে জবাই করা হয়নি; বরং মেশিনে বা এই জাতীয় কোনো পন্থায় আল্লাহর নাম নেওয়া ছাড়া জবাই করা হয়েছে, তাহলে এমন প্যাকেটজাত মাংসও খাওয়া জায়েজ হবে না।
উল্লেখ্য আহলে কিতাব (আসমানি কিতাবের অনুসারী) বলতে শুধু আদম শুমারিতে হলে হবে তা নয়। বরং বাস্তবে ইহুদি-খ্রিস্টান হলে এবং তারা আল্লাহর নামে হালার প্রাণী জবাই করলে সেই প্রাণির মাংস খাওয়া জায়েজ হবে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, বর্তমানে তারা প্রকৃত আহলে কিতাব নয়। তাই তাদের জবাইকৃত জন্তুর প্যাকেটজাত গোশত খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।
আপনার প্রশ্নকৃত অবস্থায় এমন মাংস না খাওয়াই বাঞ্ছনীয় ও বাস্তবতানির্ভর।
(তথ্যসূত্র: সুরা আনআম, আয়াত: ১২; বুখারি, হাদিস নং: ১/২৭৫; নিজামুল ফতাওয়া: ১/১৮৭; ফতোয়ায়ে রাহমানিয়া: ২/৩৮১)
প্রশ্নটি করেছেন: আতাউর রহমান, কাতার প্রবাসী।
ইসলাম বিভাগে জীবনঘনিষ্ঠ ও ইসলামবিষয়ক প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এমএমইউ