মক্কার এক এতিম বালক। বড় হতে হতে তার পবিত্রতা ও বিশ্বস্ততার দ্যূতি জমিনালোকিত করে আকাশেও ছড়িয়ে দিয়েছিল নূরের ফোয়ারা! দিনে দিনে তিনি মক্কার প্রত্যেকের ভালোবাসার মানুষে পরিণত হন।
কিন্তু একদিন সব বদলে গেল। তার জীবন, তার শহর, শহরের প্রতিটি মানুষ। নবুওয়তের ছোঁয়ায় যদিও তিনি হয়ে উঠলেন আরো অনন্য ও বিভাময়। কিন্তু তারা তার প্রতি আগের মতো ভালোবাসা দেখালো না। অহংকার আর অত্মগৌরবে সেই শয়তানের অনুসারীরা লিপ্ত হলো বে-ইনসাফি ও নির্মম কর্মকাণ্ডে! তাদের ‘আল-আমিন’কে তারা বলতে শুরু করলো কবি, পাগল, জাদুকরসহ আরো অনেক কিছু। আল্লাহর রাসুল (সা.) কষ্ট পেলেও দমে গেলেন না। দিনরাত মক্কার অলিতে-গলিতে হাঁটলেন, বোঝালেন। তায়েফের পথে রক্ত ঝরালেন। অতঃপর একসময় বাধ্য হয়ে জন্মভূমি ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করলেন।
আল্লাহ তাআলা মদিনাবাসীর জন্য খুলে দিলেন সপ্ত আকাশের রহমতের দুয়ার! কোরআনের সুরে অপার্থিব এক জগৎ হয়ে উঠলো আগের ‘ইয়াসরিব’ ও এখনকার ‘মদিনা মুনাওয়ারা’। কিন্তু নবীজি (সা.) এর কাজ শেষ হলো না। তাকে লড়াই-সংগ্রাম ও প্রতিরোধ করতে হলো। নিষ্ঠুর বে-ঈমান, বে-ইনসাফ মানুষদের সঙ্গে। যারা তাকে ও তার সঙ্গীদেরকে বের করে দিয়েছিল আপন ঘরবাড়ি থেকে। কাফেররা এতে আরো ক্ষুব্ধ হলো। শুরু হলো একের পর এক সংগ্রাম-প্রতিরোধ। সে সংগ্রামে শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল—তা জানতে হলে পড়ুন তথ্যনির্ভর ও প্রাঞ্জল ভাষায় লিখিত গ্রন্থ ‘মহানবী সা.’।
বইটি পড়লে মনে হবে প্রিয় নবী (সা.) এর সঙ্গে বদর ও উহুদ মক্কা-মদিনার অভূতপূর্ব ও জ্যোতিস্নাত ‘জান্নাতের টুকরা’ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বইটির পরতে পরতে পাবেন জীবনাদর্শের হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষের জীবনীবিষয়ক ‘মহানবী সা.’ শীর্ষক বইটি সিরাতের গ্রহণযোগ্য কিতাবগুলো (রাসুলের জীবনীগ্রন্থগ) থেকে চয়নকৃত। ঝরঝরে সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লিখিত। পাঠককে তথ্য-তত্ত্ব ও সুখপাঠে ঋদ্ধ করার উপকরণে ভরপুর। চিত্তাকর্ষক বর্ণনাশৈলী ও গল্পের বয়ান-সৌকর্যে মুগ্ধকর অন্যন্য এক সিরাতগ্রন্থ।
বইটি পড়তে গিয়ে পাঠক নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাবেন সিরাতের নানা ভুবনে। স্নাত হবেন নবীপ্রেমের সরোবরে। মনে হবে, নতুন করে জানছেন প্রিয় নবীকে...।
বইটি সংগ্রহের সার্বিক তথ্য
বইয়ের নাম: মহানবী সা.
রচয়িতা: মাজিদা রিফা
প্রকাশনী: রাহবার
মুদ্রিত মূল্য: ৪০০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪৮০
যোগাযোগ: 01918339633
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
এমএমইউ