ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন আরও ১৩৪ জন

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন আরও ১৩৪ জন পবিত্র কাবা শরিফ ঘিরে তাওয়াফ করছেন হাজিরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সরকারি খরচে আরও ১৩৪ জন হজে যাচ্ছেন। হজ-মৌসুম ও ধর্মপ্রাণের বিবেচনায় পবিত্র হজপালনের জন্য তাদের সৌদি আরব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নির্বাচিতরা হজ প্যাকেজ-২ এর আওতায় আগামী ২৯ জুলাই (ফ্লাইটপ্রাপ্তি সাপেক্ষে) সৌদি আরবে যাবেন এবং ১০ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন।

বুধবার (১০ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (হজ) আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে সরকারি খরচে তাদের হজপালনে সম্মতির কথা জানা গেছে।

এর আগে ১ জুলাই ১৭৪ জনকে হজে পাঠানোর তালিকা প্রকাশ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি হজযাত্রীদের পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিতে ৫৫ আলেমকেও সৌদি পাঠাচ্ছে সরকার। সে হিসেবে চলতি বছর ৩০৮ জন সরকারি খরচে হজপালনের সুযোগ পেলেন।

১৩৪ জনের নতুন তালিকায় খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক, সংসদ সচিবালয়ের সহকারী এস্টেট অফিসার, কলেজের প্রিন্সিপাল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস সহায়ক, উপসচিব, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকোশলী, বাংলাদেশ স্কাউটসের উপ কমিশনার, রোভার স্কাউট গ্রুপের সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের নাম রয়েছে।

>> নতুন মনোনীত ১৩৪ জনের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন...

চলতি অর্থবছরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশের বাইরে হজ বাবদ ব্যয়’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে তাদের ভ্রমণ ব্যয় বহন করা হবে। খাবার খরচ ৩০ হাজার টাকা ছাড়া অন্য কোনো ব্যয় অথবা ভাতা তারা পাবেন না। খাবার খরচের ৩০ হাজার টাকার মধ্যে মক্কার খাবার খরচ বাবদ ৯ হাজার ৪৫০ টাকা কেটে রেখে অন্য ২০ হাজার ৫৫০ টাকা ঢাকার আশকোনা হজ অফিস থেকে নগদ দেওয়া হবে।

তালিকায় যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন, তারা সৌদি আরবে অবস্থানকালে নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রায় বেতনভাতা পাবেন।

সরকারি খরচে হজপালনকারীদের কোরবানি বাবদ আনুমানিক ৪৯০ রিয়াল অথবা সমপরিমাণ বাংলাদেশি অর্থ নিজ দায়িত্বে বহন করতে হবে। ভিসার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা নিতে হবে।

যারা সরকারি খরচে হজপালনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে। তালিকায় থাকা কেউ গত বছর সরকারি খরচে হজপালন করে থাকলে তার নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। আর যারা বিগত ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে হজপালন করেছেন অথবা ভিসা পেয়েছিলেন কিন্তু হজে যাননি; এমন কেউ সরকারি খরচে হজপালনের জন্য মনোনীত হয়ে থাকলে, তাদের জন্য সৌদি সরকার কর্তৃক আরোপিত ভ্যাটসহ অতিরিক্ত চার্জ ২ হাজার ১০০ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

অন্যদিকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজবিষয়ক ধর্মীয় পরামর্শ দিতে সৌদি যাচ্ছেন ৫৫ আলেম। হাজিদের দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শমূলক সেবা দিতে এবারই প্রথম বিশিষ্ট আলেম-উলামাদের নিয়ে একটি দল গঠন করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। হজযাত্রীদের প্যাকেজে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের রাষ্ট্রীয় খরচে হজে পাঠাচ্ছে সরকার। আগামী ৪ ও ৫ আগস্ট ফ্লাইট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ওলামা-মাশায়েখদের দলটি সৌদি আরবে যাবেন। ২৩ আগস্ট তারা দেশে ফিরে আসবেন।

>> আরো পড়ুন: হজযাত্রীদের পরামর্শ দিতে সৌদি যাচ্ছেন ৫৫ আলেম

বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জেদ্দা, মক্কা ও মদিনায় সহায়তা করতে আলেম-উলামাদের এই দল ছাড়াও সরকার হজ চিকিৎসক দল, হজ প্রশাসনিক দল, হজ কারিগরি দল ও হজ চিকিৎসক দলের সহায়ক দল সৌদিতে পাঠিয়েছে। এছাড়াও সৌদির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও হজ-মৌসুমে সৌদি সরকার কর্তৃক দেশের হাজিদের গাইড হিসেবে সহযোগিতা করেন।

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।