এতে বলা হয়, ইমাম আবুবকর আবদুল্লাহি অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের রক্ষা করার জন্য নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসেন। নিজের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও তিনি তাদের রক্ষা করেন।
আরও বলা হয়, বিপদ দূর করতে ইমাম আবদুল্লাহর সাহসী প্রচেষ্টা এবং আন্তঃধর্মীয় সমঝোতায় তার ধর্মীয় কর্তব্য ও শান্তি রক্ষায় প্রাণাধিক চেষ্টা অনন্য নজির হয়ে থাকবে।
বুধবার (১৭ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পিও এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পুরস্কারটি বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে মর্যাদাভিষিক্ত করে দেওয়া হয়।
ইমাম আবুবকর আবদুল্লাহি ব্রাজিলের ইভানির দোস সান্তোস, ইরাকের উইলিয়াম, পাসক্যালে ওয়ারদা ও সাইপ্রাসের সাল্পি এসকিডিজিয়ান ওয়েইডারুদের পাশাপাশি এ পুরস্কার লাভ করেন।
ইমাম আবুবকরের সাহসী কর্মযজ্ঞ পরবর্তীতে প্রকাশ পেয়েছিল। তিনি কীভাবে ৩০০ জনকে উদ্ধার করেছিলেনে, সে লোকহর্ষক ঘটনা সবাইকে আলোড়িত করেছিল। ফুলানি গোত্রের অস্ত্রধারীরা যখন বারকিন লাডি এলজিএ-তে প্রায় ১৫টি সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে সবকিছু তছনছ করে দেয়, তখন তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে এবং নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে তাদের রক্ষায় এগিয়ে আসেন।
হামলার পরে ইমাম আবুবকর ঔৎসুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমি আমার ব্যক্তিগত বাড়িতে নারীদের লুকিয়ে রাখার পাশাপাশি পুরুষদের মসজিদে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখি।
ইমাম আবুবকরকে নাইজেরিয়ায় সম্মান
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বলেন, ইমাম আব্দুল্লাহর কাছে তার পুরস্কারটি পৌঁছানো হয়েছে।
বুহারির মুখপাত্র গারবা শেহু প্রিমিয়াম টাইমস নাইজেরিয়ার একটি বিবৃতিতে বলেন, ফেডারেল সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রপতি বুহারি আন্তরিকভাবে ইমাম আবুবকরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক এ পুরস্কার ও সুনাম অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। আব্দুল্লাহকে ধর্মীয়, বিশেষ ও সর্বস্তরের নাইজেরিয়ানদের আদর্শ বলে অভিহিত করেছেন।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এমএমইউ