হজরত নুহ (আ.)-এর যুগে মহাপ্লাবনের পর আল্লাহ তাআলার নির্দেশক্রমে হজরত ইবরাহিম (আ.) যখন আবার কাবাঘর নির্মাণ করলেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে হুকুম করেন, ‘মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দিন। তারা আপনার কাছে হেঁটে এবং সব ধরনের কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে দূরদূরান্ত থেকে আসবে।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তখন বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আল্লাহপ্রেমী মানুষেরা কাবা পানে ছুটে আসতে লাগল। ধীরে ধীরে তা পরিণত হলো আল্লাহপ্রেমী মানুষদের মিলনকেন্দ্রে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি বাইতুল্লাহকে মানুষের মিলনস্থল ও নিরাপদ স্থান বানিয়েছি। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)
সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলা তাওহিদের এই কেন্দ্রভূমিতে এসে ধরনা দেওয়া বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। হজ-ওমরাহর উদ্দেশ্যে এই পবিত্র ভূমিতে আসা প্রত্যেককেই দ্ব্যর্থহীন স্বরে ঘোষণা করতে হয়—‘হাজির! প্রভু, আমি হাজির! তোমার কোনো অংশীদার নেই। সমস্ত প্রশংসা, নিয়ামত আর কর্তৃত্বের একচ্ছত্র অধিকারী একমাত্র তুমিই। তোমার কোনো শরিক নেই। ’
হজযাত্রা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রকম ছিল। কালের পরিক্রমায় জীবনযাত্রার মতো হজ-সফরেও এসেছে পরিবর্তন। এছাড়াও হজের স্থানগুলোর দৃশ্য-প্রেক্ষাপটেও এসেছে, বৈচিত্র-সৌন্দর্য, আধুনিকায়ন ও সুযোগ-সুবিধা। তাই এখন আগের স্থির চিত্রগুলো দর্শকের মনে আশ্চর্যের দোলা দেয়। পুরোনো দিনের পুলন-শিহরণ নতুন করে জাগিয়ে তোলে।
বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য ১৯৫৩ সালের হজ পালনের চমৎকার ও দুর্লভ ২৫টি ছবি। স্থান, পরিক্রমা ও ক্যাপশনসহ...
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এমএমইউ