কিছু নফল নামাহ হলো- তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত ও আউওয়াবিনের নামাজ। এছাড়া আরও কিছু অনির্ধারিত নফল নামাজ রয়েছে।
• ফজর উদয় হওয়ার পর দুই রাকাত সুন্নত থেকে অতিরিক্ত পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস: ১১৮৫)
• ফজর নামাজের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত নফল বা সুন্নত নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস: ৫৫১)
• আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস: ৫৫১)
• ইমাম যখন জুমার খুতবার জন্য বের হন, তখন থেকে ফরজ নামাজ থেকে ফারেগ হওয়া পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। (কানযুল উম্মাল: ২১২১২)
• ইকামাতের সময়। (মুসলিম, হাদিস: ১১৬০)
তবে ফজরের সুন্নতের অত্যধিক গুরুত্বের কারণে ইকামাতের পরও মসজিদের কোনো কোণে তা আদায় করতে বলা হয়েছে; যদি দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার পুরোপুরি সম্ভাবনা থাকে। (মুসলিম, হাদিস: ১১৯৩; বুখারি, হাদিস: ১০৯৩)
• সময় যদি এত কম হয় যে, সুন্নত পড়তে গেলে ফরজ নামাজ শেষ হয়ে যাবে; তাহলে সুন্নত পড়া মাকরুহ।
• খুব ক্ষুধা এবং খানার প্রতি তীব্র চাহিদা হলে ওই অবস্থায় নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। কেননা এর ফলে খাবারের সঙ্গেই মন লেগে থাকবে; নামাজের সঙ্গে নয়। (মুসলিম, হাদিস: ৮৬৯)
• মল-মূত্রের বেগ হলে। (মুসলিম, হাদিস: ৮৬৯)
• এমন কোনো বস্তুর উপস্থিতিতে, যে বস্তু নামাজ থেকে বিমুখকারী এবং খুশু-খুজুতে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী। (মুসলিম, হাদিস: ৮৬৯)
• ঈদের নামাজের আগে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ।
• ঈদের নামাজের পর ঘরেও কোনো নামাজ নেই, ঈদগাহেও নেই। (ইবনে মাজাহ: ১২৮৩; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ২/১৭৮, ১৭৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৩১৬২)
• আরাফার ময়দানে, বিশেষ করে হজযাত্রীদের জন্য জোহর আর আসরের মধ্যবর্তী সময়ে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। মুজদালিফায় বিশেষ করে হজযাত্রীদের জন্য মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে। (মুসলিম, হাদিস: ১২৩৭; বুখারি, হাদিস: ১৫৬২; নাসায়ি, হাদিস: ৬৫৪)
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা ও প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এমএমইউ