ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

জিজ্ঞাসা

কোম্পানির পক্ষ থেকে পাওয়া ওষুধগুলোর বিধান কী?

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
কোম্পানির পক্ষ থেকে পাওয়া ওষুধগুলোর বিধান কী?

প্রশ্ন: আমি পেশায় ডাক্তার। সে হিসেবে আমার একটি বিষয় জানা খুবই প্রয়োজন। কারণ এ ব্যাপারটিতে আমি প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হই। সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ হবো।

জানার বিষয় হলো, কোম্পানিগুলো ডাক্তারদের শুভেচ্ছাস্বরূপ কিছু ওষুধ দিয়ে থাকে। এখন সেই ওষুধগুলো নেওয়া সঠিক হবে কি না? অথবা ওষুধগুলো বিক্রি করে টাকা ভোগ করা যাবে? সঠিক জানালে আমার দ্বীন মেনে চলা সহজ হবে।

উত্তর: ওষুধ কোম্পানির পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের ওষুধ কয়েকটি কারণে দিয়ে থাকতে পারে। যদি এমন হয় যে, ওষুধটি সম্প্রতি বাজারে এসেছে। আর চিকিৎসককে এটি দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো, ওষুধটির সঙ্গে তাকে পরিচিত করা এবং গুণগত মান ও কার্যকরিতা যাচাই করা; তাহলে চিকিৎসকের জন্য ওষুধটি নিতে অসুবিধে নেই। এমন ওষুধ চিকিৎসক নিজে ব্যবহার করতে পারবেন। নিজের পরিবারের লোকদেরও দিতে পারবেন। পাশাপাশি অন্য যে কোনো রোগীকেও বিনামূল্যে দিতে পারবেন। কিন্তু ওষুধটি বিক্রি করে এর মূল্য নিজে ভোগ করা বৈধ হবে না।

ওষুধ দেওয়ার আরেকটি প্রকার হলো- যে ওষুধগুলো আগে থেকেই বাজারে চালু আছে, যেগুলো কোম্পানি চিকিৎসকদের দিয়ে থাকে।  পাশাপাশি সেগুলোর ব্যাপারে নতুন করে অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রয়োজন নেই। তখন চিকিৎসকের জন্য এ ধরনের ওষুধ গ্রহণ করা জায়েজ হবে না। কারণ, প্রায় সময় কোম্পানি চিকিৎসকদের ওষুধগুলো আর্থিক সুবিধা হিসেবে দিয়ে থাকে। যেন চিকিৎসক রোগীদের প্রেসকিপশনে তাদের ওষুধের নাম লেখেন। বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে এ কারণেই প্রায় দেখা যায়, চেম্বার থেকে রোগী বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্রেসকিপশন পড়ে দেখেন, চিকিৎসক তাদের ওষুধের নাম লিখেছেন কি না। এধরনের কাজ শরিয়তে নিষিদ্ধ ‘রিশওয়াত’ বা উৎকোচের শামিল।

তবে কোনো চিকিৎসক যদি স্পষ্ট বলে দেন যে, আমি তোমাদের ওষুধ গ্রহণ করবো না। তোমরা চাইলে গরিব রোগীদের দেওয়ার জন্য আমার নিকট দিতে পারো; আর কোম্পানির প্রতিনিধিও যদি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শুধু মানুষের মাঝে বিতরণ করার জন্য তাকে ওষুধ দেয়, তাহলে তিনি ওষুধগুলো গ্রহণ করে মানুষের মাঝে বিতরণ করতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চিকিৎসককে তাদের ওষুধ লেখার জন্য চাপ না দিতে হবে।  

সূত্র: রদ্দুল মুহতার: ৫/৩২৬; আলমাবসূত, সারাখসি: ১৬/৮২; মাআলিমুস সুনান: ৪/১৬১

প্রশ্নটি করেছেন: ডা. রফিক ইকবাল (ছদ্মনাম), পাথরঘাটা, বরগুনা

-আল-কাউসার অবলম্বনে

ইসলাম বিভাগে আপনিও প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন ও লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।