ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

৪০ দিন ফজর জামাতে পড়ে সাইকেল পেল ৯৯ শিশু!

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
৪০ দিন ফজর জামাতে পড়ে সাইকেল পেল ৯৯ শিশু!

ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি মসজিদ-কর্তৃপক্ষ বাচ্চাদের জামাতে নামাজ আদায়ে উৎসাহিত করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। যারা ৪০ দিন ফজরের নামাজ জামাতে পড়েছে, উদ্যোগ ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে একটি করে নতুন সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।

প্রায় দুইমাস আগে মসজিদটির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের এই উদ্যোগ স্থানীয় শিশু-কিশোরদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলে।

তারা ফজরের নামাজ নিয়মিত জামাতে পড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। ফলে নির্ধারিত দিন শেষে ৯৯ জন শিশু-কিশোরকে নতুন সাইকেল উপহার দেওয়া হয়।

চমৎকার উদ্যোগ নেওয়া মসজিদটির নাম হাজী স্যার ইসমাইল সাইত মসজিদ। মজার বিষয় হল, অন্যান্য স্থানীয় মসজিদে এমন উদ্যোগ নিয়ে মসজিদ-কর্তৃপক্ষের সাফল্যের কথা শোনে মসজিদ-কমিটি উদ্যোগটি স্পনসর করেছিল।

সাইকেল ও উপহার লাভ করেছে শিশুরা।  ছবি: সংগৃহীত

প্রথম পর্বে ২০০ শিশু-কিশোর নিবন্ধিত হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৯৯ জন টানা ৪০ দিন ফজরের নামাজ জামাতে আদায়ে সক্ষম হয়। ফলে তারা সাইকেল উপহার লাভ করে। আর যারা নিয়মিত ৪০ দিন ফজর জামাতে আদায় করতে পারেনি, তাদের হাতঘড়ি উপহার দেওয়া হয়।

সৃজনশীল ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ
ব্যাঙ্গালুরুর এই মসজিদটিই এই প্রথম এমন উদ্যোগ নিয়েছে, তা নয়। বরং এই বছর কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের চাঁদপুরের একটি মসজিদেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ২০১৮ সালের মে মাসে মালয়েশিয়ার ক্যালানটানের একটি মসজিদ পবিত্র রমজান মাসে শিশুদের জন্য বিনামূল্যে বাইক উপহার দিয়েছিল।

তুরস্কে শিশুদের ফজর পড়ায় দেওয়া হলো সাইকেল।  ছবি: সংগৃহীত

এর আগে ২০১৮ সালের জুলাইতে তুরস্কের কোন্যা পৌরসভা-কর্তৃপক্ষ ‘মসজিদে আসুন এবং আনন্দ করুন’ প্রকল্প চালু করে। এতে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের টানা ৪০ দিন ফজরের নামাজ আদায়ে উত্সাহ দিয়ে এমন উদ্যোগ নিয়েছিল।

২০১৮ সালে মিশরের আল-বাহিরা প্রদেশের একটি মসজিদ শিশুদের ফজরের নামাজে শরিক হতে উৎসাহিত করে একটি প্রতিযোগিতার ঘোষণা করেছিল। প্রতিযোগিতা শেষে যারা টানা ৪০ দিন মসজিদে নামাজ পড়তে পেরেছিল, তাদের প্রতিশ্রুত উপহার দিয়েছিল।

মিশরের একটি মসজিদে শিশুদের দেওয়া হয়েছে সাইকেল।  ছবি: সংগৃহীত

মূলত প্রথম এমন প্রতিযোগিতা-উদ্যোগের ধারণাটি আসে ইস্তাম্বুলের একটি মসজিদ-কর্তৃপক্ষের। ইস্তাম্বুলের ফাতিহ জেলার সুলতান সেলিম মসজিদ-কর্তৃপক্ষই ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম এধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল। তারা টানা ৪০ দিন ফজরের নামাজে অংশ নেওয়া বাচ্চাদের সাইকেল ও বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দিয়েছিল।

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে ই-মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।