প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন অত্যন্ত সুন্দর মানুষ। যাঁর সৌন্দর্যের কাছে আকাশের চাঁদও হার মানত।
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.)-এর দুই পা ছিল মাংসপূর্ণ। চেহারা ছিল সুন্দর। আমি তাঁর পরে তাঁর মতো কাউকে দেখিনি। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯০৯)
সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবিবকে কত সুন্দর করেই না সৃষ্টি করেছেন। যে চোখ ঈমান অবস্থায় সেই চাঁদমুখ দেখেছে, সে চোখ কতই না সৌভাগ্যবান। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। সৃষ্টিকুলে তাঁর চেয়ে প্রিয় আর কোনো মাখলুক নেই। তাই সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য তাঁর মধ্যে পাওয়া যাওয়াই স্বাভাবিক। রাসুলের পরে মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নবী ছিলেন ইবরাহিম (আ.)। মহানবী (সা.)-এর একটি হাদিস দ্বারা জানা যায়, যে তাঁর চেহারা মুসলিম জাতির পিতা খলিলুল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর সঙ্গে মিল ছিল, সুবহানাল্লাহ! জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) বলেছেন, মিরাজের রাতে আমার সম্মুখে নবীদের হাজির করা হয়। সে সময় মুসা (আ.)-কে আমি দেখলাম, তিনি যেন শানুআহ গোত্রের একজন পুরুষ। আমি ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ.)-কেও লক্ষ করেছি, আমার দেখা লোকদের মাঝে তিনি উরওয়াহ ইবনে মাসউদের মতো। আমি ইবরাহিম (আ.)-কেও লক্ষ করেছি, আমার দেখা লোকদের মধ্যে তিনি তোমাদের বন্ধুর মতো, অর্থাৎ আমার মতো। জিবরাঈল (আ.)-কেও আমি লক্ষ করেছি, তিনি আমার দেখা লোকদের মধ্যে দিহয়া ইবনে খলিফা আল কালবির মতো। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬৪৯)
সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ তাঁর উভয় নবীর ওপর অফুরন্ত রহমত অবতীর্ণ করুন। তাঁদের মর্যাদা আরো হাজার কোটি গুণ বৃদ্ধি করুন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
এসআই