ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

ক্ষমা লাভের শ্রেষ্ঠ উপায় দোয়া

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
ক্ষমা লাভের শ্রেষ্ঠ উপায় দোয়া ছবি: সংগৃহীত

দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। দোয়া মানে প্রার্থনা।

মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে কিছু চাওয়া, ফরিয়াদ করা, ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহর কাছে মানুষ যত চাইবে আল্লাহ তত দেবেন। আল্লাহ চান বান্দা প্রতিটি বিষয়ে তার কাছে প্রার্থনা করুক। বান্দা যত চায় আল্লাহ তাতে তত খুশি হন। আর বান্দা প্রতিনিয়তই ভুল করে থাকে, তাই ভুলে থেকে ক্ষমা লাভের শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে দোয়া। এটি বান্দার জন্য স্রষ্টার একটি নেয়ামতও।

দোয়া কবুলের জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত ও আদব আছে। নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে দোয়া করলে আশা করা যায় আল্লাহ তা কবুল করবেন। দোয়া কবুলের জন্য দিনরাতের মাঝে এমন অনেক সময় ও মুহূর্ত রেখেছেন, যে সময় দোয়া করলে তা কবুল হয় বলে হাদিসে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে।

দোয়া কবুলের কয়েকটি মুহূর্তের কথা আলোচনা করা হলো:

১. রাতের শেষ তৃতীয়াংশের যদি দোয়া করা হয়, তাহলে তা কবুল হয়। হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ মহান সবচেয়ে কাছের আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকছো? আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে চাইছো? আমি তাকে তা দেব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী’ আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। (মুসলিম)

২. জুমার দিনের দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়। হাদিসে এসেছে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) আমাদের একদিন শুক্রবারে ফজিলত নিয়ে আলোচনা করছিলেন। আলোচনায় সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যে সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় পায় এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ মহান অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসূল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টা সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন। ’ (বুখারি)

৩. আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া কবুল হয়। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া করা হলে তা ফিরিয়ে দেয়া হয় না। ’ (তিরমিজি)

৪. সেজদারত অবস্থায় দোয়া করা হলে তা কবুল হয়- রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটতম অবস্থায় থাকে তা হলো সেজদারত অবস্থা। সুতরাং তোমরা সে সময় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাও বা প্রার্থনা করো। ’ (মুসলিম)

৫. জমজমের পানি পান করার সময়ের দোয়া করা হলে তা কবুল হয়- রাসূল (সা.) বলেন, ‘জমজম পানি যে নিয়তে পান করা হবে, তা কবুল হবে। ’ অর্থাৎ এই পানি পান করার সময় যে দোয়া করা হবে, ইনশাআল্লাহ তা অবশ্যই কবুল হবে। (ইবনে মাজাহ)

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।