ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

শ্রীমঙ্গলে সদ্য নির্মিত অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর এক মসজিদ

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
শ্রীমঙ্গলে সদ্য নির্মিত অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর এক মসজিদ শ্রীমঙ্গলে সদ্য নির্মিত হয়েছে কাজী আশরাফ জামে মসজিদ। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে সিঁন্দুরখান রোডের টিকরিয়া এলাকা। এখানেই ১৩ শতাংশ জায়গাজুড়ে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে কাজী আশরাফ জামে মসজিদ।

নির্মাণ পরিকল্পনা এবং স্থাপত্যশিল্পের দিক থেকে এটি নান্দনিক সৌন্দর্যে ভরপুর।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করা হলেও মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। শেষ হয় এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারিতে। টার্কিশ স্থাপত্য শৈলী অনুসরণে নির্মিত অনিন্দ্য সুন্দর এই মসজিদ নির্মাণ কাজে গম্বুজ তৈরিতে মসজিদে নববীর আদলে অলংকৃত করা হয়েছে।  

সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এর নির্মাণ ব্যয় হয় প্রায় এক কোটি টাকা। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ মিয়া মসজিদ নির্মাণের নকশা করেন।
আধুনিক ডিজাইনের টাইলস, বিদেশি পেইন্টের বৈচিত্র্য, রাতের আলোকসজ্জা, চোখ জুড়ানো খিলানে নিপুণ হাতের কারুকাজ সবমিলে এক অসাধারণ সৌন্দর্য দেখে যে কারোই প্রাণ জুড়াবে। এর মধ্যে স্থানীয় ও আশেপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে মসজিদটি নিয়ে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। অনেকে মসজিদটিতে একবারের জন্য নামাজ পড়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।

মরহুম কাজী আশরাফ আলীর লন্ডন প্রবাসী কন্যা কাজী আয়েশা জানান, বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে আমরা কারো অমুদান ছাড়াই পারিবারিক উদ্যোগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছি। মসজিদটি কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৮০-৯০ দশকে শ্রীমঙ্গল শহরের নতুন বাজারের ‘কাজী ট্রাংক’ এ অঞ্চলের  ঘরে ঘরে জনপ্রিয়  ট্রাংক ছিল। কাজী আশরাফ আলী ছিলেন কাজী ট্রাংক ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী। কাজী আশরাফের মৃত্যু আর প্লাস্টিকপণ্যের আধিপত্যে স্টিলের তৈরি ‘কাজী ট্রাংক’ এর সেই কদর না থাকলেও মরহুম কাজী সাহেবের সুযোগ্য সন্তানরা পৈতৃক সেই ব্যবসা এখনও আঁকড়ে ধরে আছেন। মূলতঃ বাবার স্মৃতিকে ধরে রাখতেই পরিবারিকভাবে কাজী আশরাফ জামে মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

কাজী সাহেবের জৈষ্ঠ্যপুত্র কাজী ট্রাংকের বর্তমান কর্ণধার কাজী জাহাঙ্গীর বলেন, কাজী ট্রাংকের ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি আব্বা একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন। দরিদ্র মানুষদেরে সাধ্যমত সাহায্য করতেন। অত্র অঞ্চলে তাঁর অনেক সুনাম ছিল। আব্বার মৃত্যুর পর আমরা সব ভাই-বোন মিলে আব্বার নামে তার স্মৃতি রক্ষায় এই মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেই। আল্লাহ তায়া’লার অশেষ মেহেরবানীতে এ বছর মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।

এখন প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন এর সৌন্দর্য দেখতে এবং নামাজ পড়তে আসছেন বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।