সোমবার (০১ জানুয়ারি) ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে জাপার ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ডা. মিলন হত্যার বিচার না হওয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এরশাদ বলেন, প্রতিবছরই ২৭ নভেম্বর ডা. মিলন দিবস পালন করা হয়।
আর নূর হোসেন হত্যার দায় তার নয় দাবি করে তিনি বলেন, নূর হোসেনকে কারা মেরেছে আমরা জানি না। তবে আমরা ক্ষমতায় গেলে এ বিষয়টাও খতিয়ে দেখা হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন>>
** জাপার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মিছিল করতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলন। এরপর থেকে দিনটি শহীদ মিলন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
একই মাসে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান নূর হোসেনও।
এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে কেউ সুবিচার করেনি। আমাদের সহযোগিতা নিয়ে তিনবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেছে। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে একথা ভুলে যায় তারা। ছিয়ানব্বই সালে জেলে আমার কাছে মধ্যরাতে লোক পাঠিয়েছিল বিএনপি। সমর্থন চেয়ে বলেছিল, প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলেও তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমি আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিই, তারা সরকার গঠন করে।
১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ১৩৪ আসন, জাপা পায় ১৬, আর আওয়ামী লীগ ১৪৪ আসন পায়, জামায়াতের ছিল তিনটি।
‘আমরা বিএনপির সঙ্গে যোগ দিলে জামায়াতের তিনটিসহ ১৫৩টি আসন নিয়ে জয়ী হতো বিএনপি। আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ারও অফার (প্রস্তাব) ছিল। কিন্তু সমর্থন দিয়েছিলাম আওয়ামী লীগকে। কিন্তু আমি কি পেলাম…! আমার দলের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে দিয়ে আমার দল ভাঙা হলো। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদ বলেন, ‘১৯৯১ এর নির্বাচনে বিএনপি আমাদের নির্যাতন করে দলে ভাঙন ধরাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা টিকে গেছি। আমরা জনগণের জন্য কাজ করেছি, তাদের দোয়ায় টিকে আছি। জাতীয় পার্টি এখন বিগ ফ্যাক্ট ইন পলিটিক্স। ’
আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে জাপা প্রধান বলেন, এখন মানুষ পরিবর্তন চায়। খুন-গুম ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চায় না। উপরওয়ালা আমাদের সুযোগ দিয়েছেন- তা কাজে লাগাতে হবে।
এ সময় দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কাজী ফিরোজ রশীদ, মজিবুল হক চুন্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে আইবি চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। যা শেষ হয় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে।
এর আগে সকালে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা উদ্বোধন করেন জাপা চেয়ারম্যান। পরে আইইবি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকার জাপা ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এসআই/এমএ/