সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার লেখা ‘জাতীয় পার্টি কেন করবেন’ ও ‘তোমার জন্য’ শিরোনামে দু’টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও বই দু’টির প্রকাশক আকাশ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আলমগীর সিকদার লোটন।
এরশাদ বলেন, এখন ধর্মীয় উপাসনালয় লুট হয়, জমি দখল হয়, আমাদের সময় এগুলো হয়নি। তাই মানুষ আমাদের চায়। মানুষ আজ অত্যাচারে অতিষ্ঠ। বর্তমানে মেধার চেয়ে দলের কদর বেশি। গতকালও (রোববার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ মারামারি করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষিত রাখবো। কারণ তারা এতো টাকা খরচ করে সংসদে আসতে পারে না।
তিনি রাষ্ট্রপতি থাকাকালে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করেছেন দাবি করে এরশাদ বলেন, ১৯৮৭ সালে আমি আইন করেছিলাম, সব অফিস-আদালতে বাংলা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আমরা সবকিছু ভুলে যাই। তেমনি এটাও ভুলে গেছি।
দলের নেতাকর্মীদের তিনি জাতীয় পার্টির শাসনামলের উন্নয়নের কথা জনগণের কাছে তুলে ধরার আহবান জানান।
ঢাকায় যানজটের কারণে চলা যায় না, এ নিয়ে কেউ কিছু ভাবছেও না উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ১০ বছর পর এই শহরের অবস্থা কী হবে?
তিনি বলেন, ঢাকায় এখন আড়াই কোটি মানুষ, কিছুদিন পর পাঁচ কোটি হবে, তখন কী অবস্থা হবে? তাই আমি বলেছি, ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ করবো। শুধু বিভাগ করলে হবে না। প্রদেশ করতে হবে। সেখানে আলাদা সরকার থাকবে, তাহলে মানুষ ঢাকায় আসবে না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এখন সব জায়গায় দুর্নীতি ও দলীয়করণ। কনস্টেবল নিয়োগে ১০ লাখ, শিক্ষক নিয়োগে লাগে ২০ লাখ টাকা। এটা এখন ঘৃণিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। এসব আমাদের সময়ে ছিল না।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভরায়, প্রফেসর মাসুদা এম এ রশীদ চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ দীদার বখত, সুলতান মাহমুদ, মন্টি চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/