সোমবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে দলের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
জিএম কাদের বলেন, বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করবো।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাকে ইতিবাচক মনে করছে জাতীয় পার্টি। সব দলের অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের স্বার্থে ভালো। দেশবাসীর জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টির সূচনা করবে। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের কাছে ১০০ আসন চাইবেন। তবে আওয়ামী লীগ জোটের শরিক দলগুলোকে ৭০টি আসন দিতে চেয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হবে। সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না।
ভোটগ্রহণের দিন পেছানোর বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সব দলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এজন্য তারা যেসব পদক্ষেপ নেবে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। নির্বাচন কমিশন যখন তফসিল ঘোষণা করেন। তখন আমরা বলেছি, আমরা নির্বাচন করবো। এখন নির্বাচন কমিশন মনে করছে, নির্বাচন পিছিয়ে দিলে অংশগ্রহণমূলক হবে। এখন সেটা করছেন, এতে আমাদের সম্মতি আছে।
পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের আরও বলেন, ফরম বিক্রিতে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। দেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থীরা আমাদের মনোনয়ন ফরম নিচ্ছেন। কোনো কোনো সংসদীয় আসন থেকে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে। তার দু’দিন পর যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে। তবে ভোটগ্রহণের দিন পেছানোর কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো মনোনয়ন বিক্রির সময় আরও দু-একদিন বাড়িয়ে দেবো কি-না। যেহেতু আমাদের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক। মনোনয়ন বিক্রির সময় বাড়ানো হলে যাচাই-বাছাইও পিছিয়ে দিতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮/আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা
এসই/এইচএ/এমজেএফ