এই ইশতেহারে নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার, দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সরকার গঠন, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা প্রবর্তন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও রেখেছে ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক ও সংসদের বিরোধী দলটি।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে জাপার কার্যালয়ে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন জাপা চেয়ারম্যানের ‘বিশেষ সহকারী’ এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
‘চিকিৎসার জন্য’ পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বিদেশে থাকায় তার পক্ষে ঘোষিত ১৮ দফা ইশতেহারে বলা হয়েছে, দেশের আটটি বিভাগ আট প্রদেশে রূপ দেওয়া হবে। প্রদেশগুলো হলো- উত্তরবঙ্গ, বরেণ্য, জাহাঙ্গীরনগর, জালালাবাদ, জাহানাবাদ, চন্দ্রদীপ, ময়নামতি ও চট্টলা।
দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সরকার গঠনের পরিকল্পনা জানিয়ে জাপার ইশতেহারে আরও বলা হয়েছে, তারা কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে ৩০০ আসনবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ। প্রাদেশিক সরকারে থাকবে প্রাদেশিক সংসদ। প্রতি উপজেলা কিংবা থানাকে প্রাদেশিক সরকারের এক একটি আসন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ধর্মীয় মূল্যবোধ, কৃষকের কল্যাণ সাধন, সন্ত্রাস দমন কঠোর ব্যবস্থা, জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি স্থীতিশীল রাখার অঙ্গীকারের পাশাপাশি ইশতেহারে জাপা বলেছে, তারা ক্ষমতায় এলে ফসলি জমি নষ্ট করা হবে না, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা পদ্ধতি সংশোধন, স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ ও সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এছাড়া, গুচ্ছগ্রাম, পথকলি ট্রাস্ট, পল্লী রেশনিং চালু, শিল্প ও অর্থনীতির অগ্রগতি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষার বিষয়টিও ইশতেহারে রেখেছে জাপা।
জাপার ইশতেহার ঘোষণার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এসএম ফয়সল চিশতী, যুগ্ম-মহাসচিব মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ প্রমুখ।
সরকারের অংশীদার ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি নির্বাচনে মহাজোটগতভাবে যেমন অংশ নিচ্ছে, তেমনি তারা জোটের বাইরেও আলাদা করে প্রার্থী রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
এমআইএস/এইচএ/