ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয় পার্টি

প্রতিটি গ্রামে জাপাকে শক্তিশালী করতে হবে: জি এম কাদের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
প্রতিটি গ্রামে জাপাকে শক্তিশালী করতে হবে: জি এম কাদের 

ঢাকা: দেশের প্রতিটি গ্রামে জাতীয় পার্টির (জাপা) অঙ্গসংগঠন থাকবে। পর্যায়ক্রমে অঙ্গসংগঠনের পরিধি বাড়ানো হবে। এভাবে দেশের প্রতিটি গ্রামে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে  নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। 

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রমনার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।

নারায়ণগঞ্জ- ৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন- জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেন বাবলু।

এছাড়া আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নব নির্বাচিত সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ এতে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

জি এম কাদের বলেন, আমাদের নেতা এইচ এম এরশাদ দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করেছেন। অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। দেশের জনগণ জাতীয় পার্টির অবদানের কথা ভোলে নাই। জাতীয় পার্টি যখন ক্ষমতায় ছিল দেশের প্রতিটি জায়গায় উন্নয়নের কাজ করেছে। এটা দেশের কেউ অস্বীকার করে না।

‘এই মুহূর্তে জাতীয় পার্টি দেশের প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর মধ্যে তিন নম্বর অবস্থানে রয়েছে। বিএনপি দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই ঝুঁকির মধ্যে আছে। সঠিক নেতৃত্বের অভাবে তারা দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিএনপি বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি এক নম্বর অবস্থানে ছিল। আমরা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী আবারও এক নম্বর হয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। সে জন্য নেতাকর্মীদের চোখ-কান খোলা রেখে, সজাগ থেকে দলের জন্য কাজ করতে হবে।  

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি করতে হলে দলের আদর্শ নিয়ে করতে হবে। বুকে ধারণ করতে হবে জাতীয় পার্টির আদর্শ। পাশাপাশি দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জনগণের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। দলের নেতাকর্মীদের চেইন অব কমান্ড মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।

সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমাদেরকে স্বৈরাচারী সরকার বলা হয়। কেন বলা হয় সেটা আমার বোধগম্য নয়। তবে আমি বলতে পারি, দেশে যারা সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যা করেছে, গুম করেছে তারাই স্বৈরাচারী। আমরা কোনো সম্রাট পালি না, ক্যাসিনো চালাই না, মাস্তানি করি না। আমাদের উদ্দেশ্য মাস্তানি করা নয়। আমরা জনগণের পক্ষে কাজ করতে চাই।

রাঙ্গা আরও বলেন, রংপুর এরশাদের ঘাঁটি। রংপুরের সব নাঙ্গলের ভোট। আমরা ভোট লুট, মারামারি করে ক্ষমতায় যেতে চাই না। পল্লীবন্ধু এরশাদ জেলে থেকে পাঁচটি আসনে সর্বাধিক ভোটে জয় লাভ করেন। সর্বশেষ নির্বাচনে সিঙ্গাপুরে থেকেও তিনি জয়লাভ করেছেন। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল রংপুরে ভোট পাবে না। আমরা এরশাদের অনুসারী হিসেবে আগামী নির্বাচনের আগে দেশের প্রত্যেকটি গ্রাম-গঞ্জে জাতীয় পার্টিকে সুসংগঠিত করবো। আমরা শক্তিশালী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জয় সুনিশ্চিত করতে চাই।

সম্মেলনে ৭৬ জেলার সাংগঠনিক কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
পিএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।