তিনি বলেনছেন, বাংলাদেশের বড় বড় রাজনৈতিক দল ব্যক্তি কেন্দ্রীক। শীর্ষ নেতার অবর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো ঘাত-প্রতিঘাতে বিলীন হয়ে যায়।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে নিজের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গণমানুষের আস্থা অর্জন করতে কাজ করছে দলটি। মানুষের ভালোবাসায় রাষ্ট্র ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছানো জাতীয় পার্টির জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করলে অর্থ-বিত্তে মূল্যায়ন আশা করা ঠিক নয়। মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসাই রাজনীতিবিদদের কাম্য হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই ভালোবাসার মূল্য দিতে চাই। মানুষের আস্থা অর্জন করে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। দেশের মানুষের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করার ঘোষণাও দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
নিজের জন্মদিনের আয়োজনে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মাগফেরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, পল্লীবন্ধু যখন জেলে, তখন চাকরি ছেড়ে জিএম কাদের রাজনীতিতে এসে পল্লীন্ধুর মুক্তি আন্দোলন বেগবান করেছিলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আমরা সবাই মিলে জাতীয় পার্টির ঐক্য ধরে রাখবো। আর ঐক্যবদ্ধ থাকলে জাতীয় পার্টির ক্ষমতায় যাওয়া সুনিশ্চিত।
এর আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নিজের জন্মদিনের কেক কাটেন।
এসময় স্ত্রী শেরিফা কাদের, পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, সোলায়মান আলম শেঠ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
এসএমএকে/টিএ