ছোটোবেলায় পুতুল খেলেনি এমন মেয়ে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পুতুলের বিয়ে দেওয়া, খাওয়ানো, বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, খুনসুঁটি করা, মনের কথা খুলে বলা, এসব করতে কে না ভালোবাসে।
পুতুর খেলা কিন্তু সেই প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত। তখন অবশ্য মাটি আর পাথর ছিলো পুতুল তৈরির প্রধান উপকরণ। কালের বিবর্তনে আজ কাপড়, প্লাস্টিক, এমন কী বিভিন্ন যন্ত্রের সমন্বয় ঘটেছে পুতুল তৈরিতে।
তবে মেয়ে শিশুরা বারবি ডলের নাম শুনলে যেন একটু বেশি উৎসাহী হয়ে ওঠে। মনের অজান্তেই তারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে বারবি ডল। কারণ বারবির শৈল্পিক সৌন্দর্য। ফুটফুটে বাচ্চা বারবির শারীরিক গড়ন অত্যন্ত নিখুঁত। চোখ তার সমুদ্রের মত নীলাভ। চুল সোনালি আর কোঁকড়া। হাত ও পায়ের গঠনের মধ্যে রয়েছে অন্যরকম শৈল্পিক ভাব। দেহের গঠন ছিপছিপে আর লম্বা।
কারো কারো কাছে আবার লাল পরী, নীল পরী, সাদা পরী, রানীর মতো সুন্দর, মোহনীয় বারবি। এমন পুতুলকে কি পছন্দ না করে, না ভালোবেসে পারা যায়? বন্ধুরা নিশ্চয় ‘না’ বলবে না।
বারবির জনপ্রিয়তা কিন্তু অনেক আগ থেকেই। ‘ম্যাটটেল’ নামে একটি আমেরিকান খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বারবিকে প্রথম বাজারে নিয়ে আসে ১৯৫৯ সালে।
পুতুলের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল আমেরিকার রুথ হন্ডার বানান সুন্দর একটি পুতুল। এর নাম দেন বারবি। বারবি রাতারাতি জয় করে নেয় ইউরোপ-আমেরিকা মহাদেশের পুতুলপ্রেমীদের মন। বারবি পুতুল নেই এমন কিশোরীর সংখ্যা ওসব দেশে বিরল।
বারবি পুতুলের নানা সংস্করণ ছড়িয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব জুড়ে। । আমাদের দেশের মেয়েদের কাছেও বারবি কম নেই।
বারবি কিন্তু খুব স্মার্ট পুতুল। সাধারণত স্কার্ট আর টপ পরতে ভালোবাসে সে। আগে সে একাই ছিল। এখন বানানো হয়েছে ওর একটা বন্ধু ।
বর্তমানে বারবি বই, কসমেটিক্স, পোশাক, ভিডিও গেমেসের একটি নামী ব্রান্ডেরও নাম। তাছাড়াও বারবিকে সহ অভিনেত্রী হিসেবে দেখা গেছে বিখ্যাত সিনেমা টয় স্টোরির প্রত্যেকটি পর্বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি[email protected]