মুক্তিযুদ্ধের সময় মিরপুর ছিল ঢাকার অনেকটা নীরব এলাকা। এখনকার মিরপুর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সেই সময়কার মিরপুর বিহারী অধ্যুষিত এবং কিছুটা নির্জন এলাকা হওয়ার সুবাদে এখানে ব্যাপক হারে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে সেই সময়ের জল্লাদরা। দেশের বড় বড় বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে অন্যতম মিরপুরের এই জল্লাদখানা বধ্যভূমি। ৭১-এ স্থানীয় ওয়াসার পরিত্যক্ত একটি পাম্প হাউসে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় যার দুটি কূপের একটিতে খন্ডিত মস্তক এবং অন্যটিতে বাকি দেহাংশ ফেলা হত। ১৯৯৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোগে ট্রাস্টি আক্কু চৌধুরী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের সহযোগিতায় এর খনন কাজ শুরু করেন। তখনকার খননকার্যে পরিত্যক্ত পাম্প হাউসটির কূপ থেকে ৭০টি মনুষ্যখুলি এবং ৫৩৯২টি বিভিন্ন হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে সববয়সী নারী-পুরুষেরই দেহাংশ ছিল বেশি। এছাড়াও যুদ্ধের সময়ে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাদের অনেকের ব্যবহৃত জিনিসপত্রও পাওয়া যায় কূপদুটিতে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোগে জল্লাদখানা বধ্যভূমিটির পাম্প হাউস এবং এর পুরো স্থাপনাটি নিয়ে একটি স্মৃতি ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই জল্লাদখানার অবস্থান মিরপুর ১০ নম্বর সেক্টরের ঝুট পল্লীর শেষে।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।