ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

গল্প লেখো, জিতে নাও পুরস্কার!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৩
গল্প লেখো, জিতে নাও পুরস্কার!

শিশু-কিশোরদের মন স্বপ্ন দেখে রঙিন। আকাশে পাখি হয়ে ওড়া, বনের বাঘ হয়ে রাজত্ব করা, বৃষ্টি হয়ে সবাইকে ভিজিয়ে দেওয়া, আরও কতো কি? তাই না?

তোমাদের এসব রঙিন স্বপ্নগুলো শব্দের ফ্রেমে বেঁধে বিশ্ববাসীকে জানাতে একটি উদ্যোগ নিয়েছে দেশের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের শিশু-কিশোর পাতা ‘ইচ্ছেঘুড়ি’।

এ উদ্যোগকে সফল করতে এগিয়ে এসেছে দেশের মননশীল প্রকাশনা সংস্থা ‘সিঁড়ি প্রকাশন’।
 
বন্ধুরা, ইচ্ছেঘুড়ি তোমাদের জন্য একটি গল্পের শুরুটা লিখে দেবে। এরপর থেকে তোমাদের লেখাটি শুরু করে শেষ করতে হবে। গল্পটি তোমরা তোমাদের মনের ইচ্ছেমতো লিখে শেষ করতে পারবে। যাদের লেখা সবচেয়ে ভালো হবে, তারা পাবে বাংলানিউজ ও সিঁড়ি প্রকাশনের পক্ষ থেকে আকষর্ণীয় পুরস্কারসহ আরও অনেক সুযোগ।

এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে প্রতি তিন মাস পরপর। সামনের মাসগুলোতে বিষয়ে-পদ্ধতিতে থাকবে নানা বৈচিত্র্য। পাঁচজন বিজ্ঞ বিচারকের দেওয়া সম্মিলিত নম্বরের ভিত্তিতে প্রতি গ্রুপ থেকে ১০ জন করে নির্বাচিত হবে। প্রতি গ্রুপের প্রথম তিনজন পাবে বিশেষ পুরস্কার। বাকিরা পাবে শুভেচ্ছা পুরস্কার। এছাড়া থাকছে দেশের বিভিন্ন পর্যটনের আকর্ষণীয় স্থানে ভ্রমণসহ নানা আয়োজন তো থাকছেই।

বিজয়ী এবং বাছাই করা গল্প নিয়ে আগামী বছরের একুশে বইমেলায় সিঁড়ি প্রকাশন থেকে প্রকাশ করা হবে দু’টি বই। যাতে থাকবে তোমাদের নাম ও গল্প। এছাড়া গল্পগুলো ইচ্ছেঘুড়ির পাতায় দেখতে পাবে সারা বিশ্বের মানুষ।

প্রতিযোগিতার নিয়ম:
•    প্রতিযোগিতা হবে দু’টি গ্রুপে। ১ম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপ এবং ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত  ‘খ’ গ্রুপ।
•    আমরা গল্পের শুরুটা লিখে দেবো, তোমাদের শেষ করতে হবে। গল্পের নাম তোমরাই দেবে।
•    ‘ক’ গ্রুপের জন্য সর্বোচ্চ শব্দ সংখ্যা ৫০০ এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য সর্বোচ্চ শব্দ সংখ্যা ৮০০।
•    লেখা পাঠানোর জন্য সময় আড়াই মাস। অর্থাৎ, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর আমাদের হাতে গল্প এসে পৌঁছালে তা গ্রহণ করা হবে না।

প্রতিযোগীদের জন্য নির্দেশনা:
•    ঘোষণা থেকে ঠিক এক মাসের মধ্যে গল্পগুলি ই-মেইল অথবা হাতে লিখে পোস্ট করে আমাদের কাছে পাঠাতে হবে।
•    গল্পের সঙ্গে তোমরা যে স্কুলে পড়ো তার নাম, শ্রেণী ও বয়স উল্লেখ করতে হবে। সঙ্গে পাঠাতে হবে তোমাদের এক কপি ছবি, বর্তমান ঠিকানা ও  মোবাইল অথবা টেলিফোন নম্বর।
•    গল্পটি তোমরা নিজে লিখেছো কিনা সেটা বিচার করে দেখা হবে।
•    বিজয়ীদের সঙ্গে বাংলানিউজ থেকে সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
•    এছাড়া যে কোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ: মোবাইল নম্বর: ০১১৯০-১২৬-৭৮৩


‘ক’ গ্রুপের গল্প সূত্র:

সবুজ ধানক্ষেত। এর পাশে বাঁশঝাড়। সেই বাঁশঝাড়ে বাস করে একটি বক। বকটির গায়ের রং ধবধবে সাদা। এতোটাই সাদা যে, পুঁটি মাছের দেখে হিংসা হয়। পুঁটি ভাবে আমার গায়ের রংও তো সাদা। কিন্তু ঠিক বকের মতো নয়। এজন্য পুঁটি ভাবলো বকের সঙ্গে ভাব জমাবে। বকের কাছে থেকে জানবে কেমন করে সে এমন রং পেয়েছে। এই ভেবে পুঁটি একদিন ভয়ে ভয়ে ধানক্ষেতের ধারে এলো। ভাবলো আজ বকের সঙ্গে কথা বলবে। আবার এও ভাবে বকের কাছে গেলেই যদি গপ করে খেয়ে ফেলে? তাহলে এখন উপায়? ভাবতে থাকে পুঁটি........  


‘খ’ গ্রুপের গল্প সূত্র:

প্রতিদিন সন্ধ্যায় গাছটিতে অনেক পাখি আসে। গাছের ডালে বসে পাখিগুলোর সে কি কিচির মিচির! পাখিগুলোর গান যেন আর থামতেই চায় না। সন্ধ্যা গড়িয়ে একটু রাত হলেই তাদের গান থেমে যায়। ঘুমিয়ে পড়ে গাছের ডালে। পাতার ফাঁকে ফাঁকে। আবার কিচির মিচির শুরু হয় খুব ভোরে।
পাখির ডাকেই প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙে শিমুলের। আজও ভেঙেছে। তবে পাখির ডাকে নয়। মানুষের কথা বলার শব্দে। এজন্য সে জানালা খুলে দেয়। দেখে বাইরে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার ভারে শিমুলের দৃষ্টি বেশিদূর যায় না। আটকে যায় উঠানের বড় আম গাছে। গাছটির নিচে অনেক মানুষ। মানুষগুলোকে সে ঠিক চিনতে পারে না। তবে এটা বুঝতে পারে, বাবা তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু কি বলছেন সেটি বুঝতে পারে না। হঠাৎ তার মনে হলো, আজ পাখিদের কোনো সাড়াশব্দ নেই কেন? দিনজাগা পাখিগুলো কি স্বপ্নের রাজ্যে হারিয়ে গেছে? মানুষের এতো কথার পরও তাদের ঘুম ভাঙছে না? নাকি পাখিগুলো মানুষের ভয়ে আগেই পাখা মেলেছে দূর আকাশে..........


লেখা পাঠানোর ঠিকানা:

ই-মেইল নম্বর: [email protected]

অথবা, পোস্ট করো

বিভাগীয় সম্পাদক
ইচ্ছেঘুড়ি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
মিডিয়া হাউজ, প্লট#৩৭১/এ (৩য় তলা)
 ব্লক#ডি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা
 বারিধারা, ঢাকা-১২২৯, বাংলাদেশ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।