মুহম্মদ জাফর ইকবাল। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক।
বাংলানিউজ: ছোটবেলার ঈদ কেমন ছিল?
জাফর ইকবাল: খুব মজার। ঈদের আনন্দ তো আছেই, ঈদের জন্য অপেক্ষা করারও একটা আনন্দ ছিল। ঈদের দিন রাতে দুঃখে বুক ভেঙে যেত যে ঈদ শেষ।
বাংলানিউজ: এখন তো অনেক ব্যস্ত থাকেন। এই ব্যস্ততার মাঝে ঈদ কীভাবে কাটান?
জাফর ইকবাল: ঈদের দিন তো আর ব্যস্ততা থাকে না। সারাদিন বাসাতেই থাকি যদি কোনো অতিথি আসে তাদের সঙ্গ দেবার জন্যে। দুপুরে আমার স্ত্রীর বাসায় খেতে যাই- রাতে মায়ের কাছে। সেখানে সবাই আসে। এছাড়া সারাদিন কেটে যায় অসংখ্য অসংখ্য ঈদ শুভেচ্ছার এসএমএস পড়তে এবং সুযোগ পেলে তার উত্তর দিতে দিতে।
বাংলানিউজ: ছেলেবেলা ঈদ এবং এখনকার ঈদ-কীভাবে দেখেন?
জাফর ইকবাল: ছেলেবেলার ঈদ ছিল নিজের জন্যে- এখনকার ঈদ অন্যদের জন্যে। বিশেষ করে পরিবারের এখনকার ছোট বাচ্চাদের জন্যে। তারা আনন্দ পেলেই আমার আনন্দ।
বাংলানিউজ: অনেকদিন দেশের বাইরে ছিলেন। আমেরিকায় ঈদের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
জাফর ইকবাল: কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না। ঈদের দিন ক্লাস করেছি, অফিস করেছি এরকম ঘটনাই বেশি।
বাংলানিউজ: ছোটবেলায় ঈদের দিনের কোনো স্মৃতি.....
জাফর ইকবাল: ঈদে নূতন জুতো পেয়েছি। ঈদের দিন পরা হবে- সেটা পায়ে দিলে ময়লা না হয়ে যায় তাই জুতো পরে বিছানার ওপর হাঁটাহাঁটি করছি।
বাংলানিউজ: ঈদে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কোনো স্মৃতি.....
জাফর ইকবাল: গত ঈদে হুমায়ূন আহমেদ ছিল না। এ ঈদেও নেই, ভবিষ্যতের ঈদেও থাকবে না। তাকে নিয়ে স্মৃতির একটি খুব মনে পড়ে- সেটি হচ্ছে ঈদের দিন সবাইকে নিয়ে লটারি। সবার নাম লিখে একটা পাত্রে রাখা হবে। একজন একজন করে নাম তোলা হতো- শেষ পর্যন্ত যার নাম থাকতো তার জন্য থাকতো সে বিশাল একটা পুরস্কার পেত!
হুমায়ূন আহমেদের এই মজাটুকু আমরা এখনো মাঝে মাঝে করার চেষ্টা করি- কেন জানি সেরকম মজা হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি-i[email protected]