ছোটবেলায় রূপকথার গল্পে মৎস্যকন্যার কথা পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কার্টুনে মৎস্যকন্যা দেখেছেনও অনেকে।
বড় হয়েও অনেকের এই ইচ্ছে রয়ে যায়। আর মৎস্যকন্যা হতে আগ্রহীদের জন্যই চালু হয়েছে মৎস্যকন্যা হওয়ার স্কুল!
ফিলিপাইনের ম্যানিলায় চালু হয়েছে মৎস্যকন্যা হওয়ার প্রশিক্ষণে স্কুল। নাম ‘দ্যা ফিলিপাইন মারমেইড সুইমিং একাডেমি’। এখানে সব বয়সী মৎস্যকন্যা হতে আগ্রহী মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কৃত্রিম লেজ লাগিয়ে একাডেমির সুইমিংপুলে মৎস্যকন্যা হওয়ার অনুশীলন করেন শিক্ষার্থীরা। প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষকরা মৎস্যকন্যা হওয়ার নানা কৌশল শেখান শিক্ষার্থীদের।
কীভাবে বেশিক্ষণ পানির নিচে সাঁতার কাটা যায়, কীভাবে জলজ প্রাণীর মতো সাঁতার কাটে, সাঁতারের সময় হাত কীভাবে রাখলে দেখতে সুন্দর লাগবে- প্রয়োজনীয় এমন অনেককিছুই শেখানো হচ্ছে একাডেমিতে। আগ্রহীরা এখানে ক্লাস করে অর্জন করতে পারেন মৎস্যকন্যা হওয়ার দক্ষতা।
তবে দুই ঘণ্টার ক্লাসের জন্য এখানে গুণতে হবে ২৫ পাউন্ড।
কেউ যদি সাঁতার কাটতে ভয় পান, কিন্তু মৎস্যকন্যা হতে আগ্রহী থাকেন, তাদের জন্য লেজ পরে মৎস্যকন্যা সেজে ছবি তোলার ব্যবস্থাও আছে একাডেমিতে।
ফিলিপাইনের এই একাডেমি ছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিশ্বের কিছু জায়গায় শেখানো হয় মৎস্যকন্যা হওয়ার কৌশল। আন্ডারওয়াটার মডেলরা এসব প্রশিক্ষণ দেন। তারা নিজেরাও মৎস্যকন্যা হয়ে ঘুরে বেড়ান পানির নিচে।
নিজদের স্বপ্ন সত্যি করার পর মৎস্যকন্যা হতে আগ্রহী মেয়েদের স্বপ্ন সত্যি করতে এগিয়ে এসেছেন অনেকে। শেখাচ্ছেন কীভাবে হওয়া যায় সত্যিকারের মৎস্যকন্যা।
মৎস্যকন্যা হতে ইচ্ছুকদের এখন আর তাই শুধু স্বপ্ন দেখেই ক্ষান্ত দিতে হবে না, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে তারা হয়ে যেতে পারবেন সত্যি সত্যি মৎস্যকুমারী!
ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৩
এমএনএনকে/এএ/