হ্রদ কী রং পাল্টাতে পারে? মানে ধরো সকালে যে হ্রদটার রং ছিল নীল, সেটা কী বিকেলে সাদা হয়ে যেতে পারে?
ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে, তাই তো?
সত্যিই এটা বিশ্বাসযোগ্য বিষয় নয়। কিন্তু প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালে এমনটাও হয়।
এই তিনটা হ্রদ অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার মনি শহরের কেলিমুটু আগ্নেয়গিরির চূড়ায়। একটি হ্রদ চূড়ার একদম পশ্চিম অংশে অবস্থিত, বাকি দুটি পাশাপাশি। একটি পাথরের দেয়াল তাদের আলাদা করেছে।
তিনটি হ্রদের পানি নীল, লাল ও সবুজ রঙের। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে যখন তখন ইচ্ছেমতো পানির রং পাল্টে ফেলে এই তিনটা হ্রদ। তুমি হয়তো সকালে নীল দেখে এলে, দুপুরে গিয়ে দেখবে লাল হয়ে গেছে হ্রদের জল। সাদা, কালো, বাদামি, লাল- এমন নানা রঙে নিজেদের রাঙায় বিস্ময়কর হ্রদগুলো। এছাড়া আগ্নেয়গিরির চূড়া কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ করেই ঢেকে যায় কুয়াশায়।
সবকিছু মিলে দারুণ রহস্যময় জায়গা কেলিমুটুর চূড়া আর সেখানের হ্রদ তিনটি।
ভালো কথা। বলাই তো হলো না, হ্রদের পানি কেন রং বদলায় জানো? কী ভাবছ? ভূতের কারবার? আসলে কিন্তু তা নয়। বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের বিক্রিয়ার কারণেই এমনটা হয়।
তবে স্থানীয়রা কিন্তু সেকথা মানতে নারাজ। তারা কী বিশ্বাস করে জানো? তারা বিশ্বাস করে এই হ্রদ্গুলো আসলে আত্মাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আত্মাদের মন ভালো বা খারাপ থাকার উপরেই নির্ভর করে হ্রদের পানির রং।
শুধু তাই নয়, হ্রদ্গুলোকে আবার বিভিন্ন নামে নামকরণও করা হয়েছে। পশ্চিম পাশের হ্রদটিকে বলা হয় বৃদ্ধদের হ্রদ, লাল পানির হ্রদকে বলে খারাপ আত্মাদের হ্রদ আর বসুজ পানির হ্রদকে বলা হয় যুবক ও কুমারীদের হ্রদ।
জানোই তো, মানুষ রহস্য ভালোবাসে। আর কেলিমুটুর আগ্নেয়গিরির চূড়াকে প্রকৃতি আচ্ছাদিত রেখেছে রহস্যের চাদরে। তাই কেলিমুটুর জনপ্রিয়তা দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে। অনেক পর্যটক আসেন এই আগ্নেয়গিরি এবং এর চূড়ার হ্রদ দেখার জন্য।
ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৪