ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

জানার আছে অনেক কিছু

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১১
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ

বন্ধুরা তোমরা কি জানো, ৭ই মার্চ বাঙালির জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালের এদিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালিন রেসকোর্স ময়দানে তাঁর বিখ্যাত ভাষণটি প্রদান করেন।

ঐতিহাসিক এই ভাষণে তিনি ঘোষনা করেন আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের। তিনি বলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ’

ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধুর সে ডাকেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে জাতি। নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ও সমগ্র জাতির বিশাল ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।

সেদিন ঢাকা ছিল মিছিলের শহর। ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সব মিছিলই এসে থামে রমনা রেসকোর্স ময়দানে। রেসকোর্স রূপ নেয় জনসমুদ্রে। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে লাখো মানুষে সয়লাব হয়ে যায় বিশাল ময়দান। বাতাসে উড়ে বাংলার মানচিত্র আঁকা লাল সূর্যের অসংখ্য পতাকা। আকাশে উত্থিত বাঁশের লাঠির সঙ্গে লাখো কণ্ঠের স্লোগানে কেঁপে উঠে জনসমুদ্র, শহর।

ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৩টা ২০ মিনিট। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি আর হাতকাটা কালো `জহর` কোট পরে বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু দৃপ্তপায়ে উঠেন মঞ্চে। দাঁড়ান মাইকের সামনে। জানিয়ে দেন তার ঐতিহাসিক ভাষণ।

রেসকোর্স ময়দান থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সরাসরি প্রচারের সমস্ত আয়োজন ছিল রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রের। প্রচার শুরুও হয়েছিল। কিন্তু সামরিক কর্তৃপক্ষ প্রচার বন্ধ করে দিলে বেতারের সমস্ত বাঙালি কর্মচারী বেতার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। বন্ধ হয়ে যায় বেতার। ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ে নানা গুজব। গভীর রাতে অবশ্য সামরিক কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর পূর্ণ ভাষণ সম্প্রচারের অনুমতি দেয়।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।