ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

একুশে বইমেলার জন্মকথা

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫
একুশে বইমেলার জন্মকথা

দু’দিন গড়ালেই একুশে বইমেলা। আমাদের প্রাণের মেলা।

সারাবছর বইমেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকি আমরা। ফেব্রুয়ারি মানেই মাসজুড়ে বইমেলা, নতুন বই। বইমেলায় রঙিন সুন্দর বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখতে দারুণ লাগে, তাই না?

প্রতিবছরই ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমিতে একুশে বইমেলা চলে। তোমরাও নিশ্চয়ই প্রতিবারই বইমেলায় যাও। কিন্তু এই বইমেলা কীভাবে শুরু হয়েছিল সে গল্পটা কি জানো? না জানলেও ক্ষতি নেই। তোমাদের আজ জানিয়ে দিচ্ছি একুশে বইমেলা শুরুর গল্প।

জানা যায়, ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজের সামনে বটগাছের নিচে কিছু বই সাজিয়ে বসেন। সেগুলো ছিল তার প্রতিষ্ঠিত ‘স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ’ থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশি শরণার্থী লেখকদের লেখা বই। সেখানে মোট ৩২টি বই ছিল। চিত্তরঞ্জন সাহার সেই উদ্যোগ থেকেই প্রাথমিকভাবে বইমেলার শুরু। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি একাই এভাবে বইমেলা চালিয়ে যান।

পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে মেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করেন। পরের বছর ‘বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি’ বইমেলায় যোগ দেয়। এরপর ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমি প্রথম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’-এর আয়োজন করে।

কিন্তু একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে সে বছর মেলা করা সম্ভব হয় নি। ১৯৮৪ সাল থেকে উৎসবের আমেজে আয়োজিত হতে শুরু করে একুশে বইমেলা।

একটা সময় বইমেলা শুরু হতো ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে, শেষ হত একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবসে। কিন্তু এখন পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই বইমেলা চলে।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে বইমেলা এখন বিস্তৃত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও। ধীরে ধীরে বইমেলার বিস্তৃতি বাড়ছে, জনপ্রিয়তার ব্যাপারে তো কোনো কথাই নেই। বইমেলা এখন বাঙালির প্রাণের উৎসব, সবচেয়ে বড় মিলনমেলা।



বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।