আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি, যার বজ্রকণ্ঠের আহবানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল লাখো বাঙালি তাঁর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে তাঁকে ‘জাতির জনক’ হিসেবে উপাধি দেয়া হয়।
বাসাবো উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আনিকা মাহমুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ আগস্ট সরকারি ছুটি আর এদিন বঙ্গবন্ধু মৃত্যুবার্ষিকী সে শুধু এটুকুই জানে। তার মতো বুশরা, সাদিয়া, তিশা, সিফাতের জানার পরিধিও এমনটাই সীমিত।
স্কুল ছুটির পর এসব শিশুকে নিতে আসা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা চান শিশুরা যেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসটা জানে। কারণ এর মাধ্যমে শিশুরা নিজেদের আত্মপরিচয় খুঁজে পাবে, যা তাদের আদর্শ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
অভিভাবক আমিনুল ইসলাম জানান, সরকারের পাশপাশি এ ব্যাপারে আমাদেরও সচেতন হতে হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বেশি বেশি মুক্তিযুদ্ধের বই পড়তে উৎসাহিত করতে হবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে পাঠ্যবইয়ে বিভিন্ন রকম লেখা থাকলেও দিন দিন সেগুলো বিকৃত হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ অনেক অভিভাবকের। এ বিষয়ে তারা পাঠ্যপুস্তক সংস্করণ ও সংশোধনের কাজের সঙ্গে যুক্তদের উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান।