ছোটদের খেলনাগুলোর মধ্যে একটি পরিচিত নাম ডলস হাউজ বা পুতুলের বাড়ি। সুন্দর একটা পুতুলবাড়ি কিনে দেওয়ার বায়না অনেক শিশুই করে।
এই বাড়িগুলোকে বলা হয় প্লে-হাউজ। বাড়িগুলো দেখলে তোমার মনে হবে এগুলো বুঝি কোনো রাজকন্যার রাজপ্রাসাদের ছোট সংস্করণ। বাংলাদেশে প্লে-হাউজের প্রচলন না থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশুদের খেলাধুলার জন্য এগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়।
বিভিন্ন কোম্পানি শিশুদের জন্য তৈরি করে দেয় এমনই চমৎকার চোখ ধাঁধানো প্লে-হাউজ। যুক্তরাষ্ট্রের পেনিসিলভানিয়ার ‘লিলিপুট প্লে হোমস’ তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান। তবে তাদের প্লে-হাউজগুলো অন্য যেকোনো প্লে-হাউজের মতো যেনতেন নয়। এগুলো রীতিমতো কোটি টাকার বাড়ি।
এই বাড়িগুলো তৈরি করতে খরচ কেমন পড়ে জানো? প্রতিটি বাড়ি তৈরি করতে খরচ হয় কয়েক হাজার ডলার। ‘লিলিপুট প্লে হোমস’ প্রায় ২০ হাজার ডলারের বাড়িও তৈরি করেছে শিশুদের জন্য, বাংলাদেশি মূল্যে যা প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এসব ছোট ছোট রাজপ্রাসাদ বাইরে থেকে দেখেই চোখ জুড়িয়ে যায়। আর ভেতরে ঢুকলে মনে হবে বুঝি সত্যিই চলে এসেছ কোনো কল্পনার রাজ্যে। ক্রেতার পছন্দমতো ভেতরে-বাইরে দোলনা, ফুলবাগান, চমৎকার আসবাবপত্র, নানারকম খেলার সামগ্রী দিয়ে বাড়িগুলোকে সাজানো হয়।
শুধু তাই নয়, তুমি চাইলে দোতলা থেকে স্লাইডে চড়েই নেমে আসতে পারবে নিচে। সেরকম স্লাইডও বসানোর ব্যবস্থা আছে বাড়িগুলোতে। আছে শিশুদের খেলার জন্য টানেল লাগানোর সুবিধাও।
‘লিলিপুট প্লে হোমস’-এর ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা স্টিফেন চেরনিকি জানিয়েছেন, তাদের মেয়ে অ্যালিসিয়ার জন্য একটি সুন্দর প্লে-হাউজ খুঁজছিলেন তারা। কিন্তু সবার চেয়ে আলাদা কোনো প্লে-হাউজ পান নি। তখন তারা নিজেরাই অ্যালিসিয়ার জন্য তৈরি করেন চমৎকার একটি ভিক্টোরিয়ান ম্যানশন। সেটা ২০ বছরেরও বেশি আগের ঘটনা। সেখান থেকেই শুরু। এরপর তারা তাদের মতো অন্য বাবা-মা এবং তাদের শিশুদের কথা ভেবে প্রতিষ্ঠা করেন ‘লিলিপুট প্লে হোমস। ’
প্লে-হাউজ শুনে কি তুমি ভাবছ এগুলোতে শুধুই খেলাধুলা করা যায়? ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই তেমন নয়। প্লে-হাউজে রান্নাঘর, বেডরুম থেকে শুরু করে সবই আছে। সারাদিন খেলাধুলা করে অনায়াসেই রাতটাও সুন্দর খেলনা বাড়ির নরম বিছানায় কাটিয়ে দিতে পারো তুমি।
ছবিগুলো দেখে কী মনে হচ্ছে? তোমারও চাই নাকি এমন একটা রাজপ্রাসাদের মতো খেলনা বাড়ি?
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫