ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

এক হাসানের গল্প

সাদিয়া ইসলাম হিজল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১০
এক হাসানের গল্প

বয়স কতই বা হবে ছেলেটির? ১০ কিংবা ১২ বছর। নাম হাসান।

ওর সাথে দেখা হয়ে গেল শাহবাগের মোড়ে। পত্রিকা বিক্রি করছিল। সিগন্যালে লাল বাতি জ্বললেই সে “গরম খবর, গরম খবর” বলে ছুটে যাচ্ছিলো বিভিন্ন গাড়ির কাছে। আশা একটাই কেউ যদি একটা পত্রিকা কেনে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই তাকে নিরাশ হতে হচ্ছিল। গাড়ি ছাড়ার পর ওর সাথে কথা বললাম। জানতে পারলাম ওদের বাড়ি ছিল চাঁদপুরে। আগে ভালো অবস্থা ছিল ওদের। কিন্তু সর্বনাশা পদ্মার ভাঙ্গনে ওদের বাড়িঘর, জমি যা ছিল সব বিলীন হয়ে যায়। এরপর বাবা, মার হাত ধরে বেঁচে থাকার আশায় চলে আসে ঢাকা শহরে। প্রথম দিকে ভালোই চলছিল। হাসানের বাবা রিক্সা চালাতো আর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য ওদের পিছু ছাড়েনি। বছর দুই আগে ওর বাবা এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তাই এখন হাসানকে পত্রিকা বিক্রি করতে হয়। কারণ মায়ের একার আয়ে তো আর সংসার চলে না, ভাইবোনও আছে। পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছা হাসানের। কিন্তু দারিদ্র্যতা তার সেই স্বপ্নকে পূরণ হতে দেয়নি।

শুধু হাসান নয়। হাসানের মত আরো অনেক শিশুই আছে যারা পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দারিদ্র্যতার কাছে হার মেনেছে। আমরা কি পারি না, এই সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করতে? আমরা কি পারি না, এই হাসানের জীবনের গল্পটা একটু ঘুড়িয়ে দিতে?

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।