মাদার তেরেসা। মহীয়সী নারীদের নাম এলে নিঃসন্দেহেই একদম উপরের দিকে থাকবে এ নামটি।
১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট এই মহীয়সী নারী আটোম্যান সাম্রাজ্যের ইউস্কুবে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আলবেনীয়। আসল নাম অ্যাগনেজ গঞ্জে বয়াজিউ।
মাত্র ১২ বছর বয়সেই ধর্মীয় জীবনযাপন করার সিদ্ধান্ত নেন অ্যাগনেজ। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮ বছর বয়সে তিনি বাড়ি ছেড়ে মিশনারি হিসেবে যোগ দেন ‘সিস্টার্স অব লোরেটো’ সংস্থায়। মিশনারি হিসেবে জীবন শুরু করার পর তার নাম হয় তেরেসা।
১৯২৯ সালে তিনি ভারতের দার্জিলিংয়ে নবদীক্ষিত হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে কলকাতার একটি লোরেটো কনভেন্ট স্কুলে শিক্ষক হিসেবে শুরু করেন কাজ।
স্কুলে পড়াতে ভালোই লাগতো তেরেসার। কিন্তু কলকাতার অসহায় মানুষের সংগ্রাম তাকে কষ্ট দিত। পঞ্চাশের মন্বন্তরে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়, যা তাকে ভীষণভাবে পীড়া দেয়। চারপাশের অবস্থা দেখে ব্যথিত হয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন অসহায়দের জন্য কিছু করার।
এরপর তিনি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের জন্য কাজ করতে শুরু করেন। পরতে শুরু করেন নীল পাড়ের সাধারণ সাদা সুতি শাড়ি।
অসহায় ও অসুস্থ মানুষদের সেবা করতেন মাদার তেরেসা। পরম যত্নে তাদের সুস্থ করে তুলতেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অসহায়দের সেবায় গড়ে তোলেন ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি। ’
প্রথমে মাত্র ১৩জন নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এ সংগঠনে কাজ করছেন ৪ হাজারেও বেশি নান।
অসহায়, অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করার জন্য পরবর্তীতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারও লাভ করেন মাদার তেরেসা।
১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন মাদার তেরেসা।
আজ তার জন্মবার্ষিকী। মহীয়সী এ নারীর প্রতি রইলো আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৫
এএ