ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস

শ্যাডো দ্য শিপ-ডগ | এনিড ব্লাইটন | অনুবাদ: সোহরাব সুমন (পর্ব ৭)

অনুবাদ রচনা ~ ইচ্ছেঘুড়ি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
শ্যাডো দ্য শিপ-ডগ | এনিড ব্লাইটন | অনুবাদ: সোহরাব সুমন (পর্ব ৭)

এনিড ব্লাইটন (১৮৯৭-১৯৬৮)

ব্রিটিশ শিশু সাহিত্যিক এনিড মেরি ব্লাইটন ১৮৯৭ সালে দক্ষিণ লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। এনিড ব্লাইটন শিশুদের জন্য প্রচুর বই রচনা করেছেন।

তার চল্লিশ বছরের জীবন কালে তিনি প্রায় আটশ’রও বেশি বই লিখেছেন। লেখার বিষয় হিসেবে বেশির ভাগ সময়ই তিনি শিশুতোষ রোমাঞ্চ, রহস্য বা জাদু আশ্রয়ী কল্পনাকে বেছে নিয়ে ছিলেন।

তার উল্লেখযোগ্য গল্পসমূহ হলো: দ্য ফেমাস ফাইভ, দ্য সিক্রেট সেভেন, দ্য ফাইভ ফাইন্ড-কোয়াটার্স, নোডি, দ্য উইসিং চেয়ার, মালোরি টাওয়ার্স, এবং সেন্ট ক্লারে।

তার লেখা বইসমূহ সাংঘাতিক রকমের সফলতা অর্জন করে। এপর্যন্ত তার বই নব্বইটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার বই আজও পাঠক সমাদৃত, এপর্যন্ত তার বইয়ের ছশ’ মিলিয়েনরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।

ইনডেক্স ট্রান্সলেশনামের মতে ২০০৭ সালে ব্লাইটন বিশ্বের পঞ্চম জনপ্রিয় লেখক, তাদের এই তালিকায় লেনিনের পর এবং শেক্সপিয়েরের আগে ব্লাইটনের নাম ঠাঁই পায়। ১৯৬৮ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

শ্যাডো দ্য শিপ-ডগ

এই বইয়ের গল্প খামারে জন্মানো শিপ-ডগ প্রজাতির এক কুকুর, শ্যাডোকে নিয়ে। খামারের শিপ-ডগ জেসির তিনটি বাচ্চা হয়। যার দুটি বিক্রি করে দেয়া হয়, পরে তৃতীয়টিকেও বিক্রি করা হয়, কিন্তু সেটি বারবার ফিরে আসায়, শেষ পর্যন্ত কৃষকের ছেলে জনিকে তা রাখবার অনুমতি দেয়া হয়, এই শর্তে যে খামারের অন্যান্য কুকুরদের মতোই তাকেও জীবিকার জন্য খামারে কাজ করতে হবে।

জনি তার এই কুকুরের নাম দেয় শ্যাডো। সব সময় সে ওর সঙ্গে থাকে। বাচ্চাটিকে সে নিজেই প্রশিক্ষণ দেয়। খামারের কুকুর জেসি বাড়ি, এর আশপাশ এবং উঠান পাহারা দেয়। টিঙ্কার, রাফে, ড্যান্ডি ভেড়া রাখার কাজ করে। ওরা সবাই শিপ-ডগ প্রজাতির কুকুর। রাখাল এন্ডি’র কুকুর বব শঙ্কর প্রজাতির হলেও তাকেও ভেড়া রাখার কাজ করতে হয়। খামারের সব কুকুরের কাছ থেকেও শ্যাডো বিভিন্নভাবে আরো অনেক কিছু শেখে। তারপর একদিন এমন সময় আসে, যখন শ্যাডোর এইসব দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং সাহসিকতা জনির জীবন রক্ষায় বারবার কাজে আসে।

বাংলানিউজের ইচ্ছেঘুড়ি বিভাগ ধারাবাহিকভাবে এ কিশোর উপন্যাসটি প্রকাশ করছে। রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার—সপ্তাহের এ তিনদিন উপন্যাসটির একটি করে নতুন পর্ব প্রকাশিত হবে।



পর্ব ৬ পড়তে ক্লিক করো


পাঁচ. শ্যাডোর কিছু মজার অভিযান

শ্যাডো, শিপ-ডগের সেই পুঁচকে ছানাটি, কুকুর ছাড়াও আরো অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। চারপাশের জগৎ সম্পর্কে তার কৌতূহলের শেষ নেই। আশপাশের সবকিছুই সে জানতে চায়। সবার সঙ্গে পরিচিত হতে চায়। জনি স্কুলে চলে যাবার পর, শ্যাডো খামারের উঠান জুড়ে ঘোরাফেরা করে, এসময় সে মাঠে যায় না, তবে সব জন্তু-জানোয়ারদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলে।

মুরগিরাও ওর পরিচিত, বিশেষ করে খাঁচার লাল মুরগিটার সঙ্গে ওর খুব ভাব, যার বারোটা পুঁচকে ছানা সারাদিন চিঁচিঁ করে উঠান জুড়ে ঘুরে বেড়ায়। দুটা রাতাও ওর চেনা, এবং সে ওদের কাছ থেকে দূরে সরে থাকে, কারণ পায়ের নখ দিয়ে ওরা খুব জোরে আঁচড় কাটতে পারে। হেলেদুলে চলা পাঁতিহাঁসেরাও ওর পরিচিত এবং ওরা তার পছন্দের। ওরা বন্ধুসুলভ আর কৌতুক ভালোবাসে।



শ্যাডো ভালো কিছু একটা করবার চেষ্টায় থাকে। কিন্তু সেরকম কিছুই খুঁজে পায় না। হাঁসেরা পুকুরে সাঁতার কাটছে, ওদের কোনো সাহায্যের দরকার নেই। খোঁয়াড়ের শুকর ছানাগুলো এতটাই ঘুম কাতুরে তারা ওর সঙ্গে কথাই বলতে পারে না। মাঠের বাছুরগুলোর কাছে গেলে ওরা তাকে দেখে দৌড়ে পালায় আর পুরনো এক্কাগাড়ি টানা ঘোড়াগুলো এতই ব্যস্ত যে ওর দিকে তাদের ফিরে দেখারও সময় হয় না। কেউ কোনো সাহায্য চায় না



শ্যাডো কাছে যেতে নিলেই বড় লাল মুরগিটা প্রচণ্ড শব্দ করে চেঁচিয়ে ওঠে, এবং প্রথম প্রথম সে ওকে খুবই ভয় পেত। তারপর এক সময় বুঝতে পারে ওকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্যে নয়, সে তার ছানাদের ডাকছে।

‘দেখলে,’ একদিন সকাল বেলায় লাল মুরগিটা বুঝিয়ে বলে। ‘ছানাদের নিজের কাছে ডাকতে আমি এই অপয়া খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। ওরা এই শিক গলে বেরিয়ে যাবার মতো যথেষ্ট ছোট, আমি তা পারি না। তাই বিপদ আঁচ করতে পারলেই আমি চিৎকার করে ওদের ডাকি আর ওরা আমার ডাক চেনে, তাই আমার ডানার নিচে লুকাবার জন্য ছুটে আসে। ’

প্রথমবার মুরগির ছানাদের খাঁচার ভেতর ছুটে যেতে দেখে সে ভীষণ অবাক হয়। ওরা হুড়মুড় করে ভেতরে ঢোকে—এবং পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যায়!

শ্যাডো খাঁচার ভেতর তাকায়। না—ওখানে লাল মুরগিটা ছাড়া অন্যকিছু নেই, কক্ কক্ করে তীব্র স্বরে চেঁচিয়ে ও তাকে দূরে সরে যেতে বলছে, নতুবা সে তার নাক আর কান ঠুকরে দেবে।

‘আমি তোমাকে আঘাত করব না’ ঘেউ করে শ্যাডো বলে। ‘তবে আমাকে বলতে হবে তোমার ছানাগুলো এখন কোথায়? আমি তো ওদের একটিকেও দেখতে পাচ্ছি না। তুমি কি ওদের খেয়ে ফেলেছো?’

‘নিজের বাচ্চাদের খাব! বোকা কোথাকার!’ কক্ কক্ করে লাল মুরগিটা বলে। ‘না—আমার ছানারা এখানে, ওদের সবাই!’

শ্যাডো আবারও তাকায়—এবং দেখে ওরা মায়ের ঘন পালকের ভেতর নিজেদের লুকিয়ে রেখেছে! একটা ছোট্ট হলদে মুরগিছানা গলার পালকের ভেতর থেকে উঁকি মারে এবং তারপর একে একে আরো দু-তিনটি ছানা একটা ডানার ভেতর থেকে থেকে ছোট্ট মাথাগুলো বের করে। অন্যেরা বুকের পালকের কাছ থেকে উঁকি মারতে থাকে—এবং তারপর, শ্যাডো তাদের কোনো ক্ষতি করবে না এটা নিশ্চিত হবার পর ওরা সবাই একে একে আবারও বেরিয়ে আসে এবং খাঁচার ভেতর ছোটাছুটি শুরু করে।

‘তোমার ছানাগুলো পালকের ভেতর থেকে উঁকি দেবার সময় মনে হচ্ছিল তোমার বুঝি বারোটা মাথা। ’ মা মুরগিটাকে শ্যাডো বলে। ‘দেখো, একটা ছানা খাঁচার বাইরে বেরিয়ে গেছে! আমি কি ওকে ঘেউ ঘেউ করে ফিরিয়ে আনব?’

‘না, না, ধন্যবাদ। তুমি ওকে ভয় পাইয়ে দেবে’ লাল মুরগি বলে। ‘তবে আমার মনে হচ্ছে তুমি আমাকে খাঁচা থেকে বের করতে পারবে। আমি নিশ্চিত, এখনো এর ভেতর বন্দি রয়েছি সেটা কৃষকের বউ ভুলেই বসে আছে। ’

‘আমি সাধ্য মতো চেষ্টা করছি। ’ শ্যাডো বলে, এবং তার শক্ত দাঁত দিয়ে আলগা হয়ে থাকা একটা শিক টানতে শুরু করে। সেটা খুলে ফেলতে তার খুব বেশি সময় লাগে না, এবং লাল মুরগিটা আনন্দে কক্ কক্ করে খাঁচার ফাঁক গলে বেরিয়ে আসে।

সে তার ছানাদের উঠানের অন্যপাশে নিয়ে যায়, এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে সরু একটা পথ ধরে ঘুরে বেড়াতে থাকে। স্কুল থেকে ফেরার পথে জনি ওদের সেখানে দেখতে পায়। সে দ্রুত মা’র কাছে ছোটে।

‘মা! আমাদের লাল মুরগিটা খাঁচা থেকে বেরিয়ে ওর ছোট্ট বাচ্চাগুলোকে নিয়ে বাইরে ওই গলির ধারে চলে গেছে। ওরা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়বে এবং শিগগিরই হারিয়ে যেতে পারে। তুমি কি ওদের ছেড়ে দিয়েছো?’

শ্যাডো এখন জনির পেছনে দাঁড়িয়ে, স্কুল থেকে ফিরে আসার পর প্রতিদিন এমনি করে সে তার এই ছোট্ট মালিকের পিছু নেয়। জনি মাকে কথাগুলো বলছে শুনে তার লেজ নুয়ে পড়ে। লেজ আর গোঁফ! ‘তাহলে কি মুরগিটাকে খাঁচা থেকে ছেড়ে দেয়া ঠিক হয়নি?’ শ্যাডো ভাবে।

জনির মা উঠোনের দিকে ছোটে। সে খাঁচার আলগা হয়ে থাকা শিকটা দেখতে পায় এবং অনুমান করতে পারে এই ফাঁক গলেই মুরগিটা বেরিয়ে গেছে। এরপর তিনি দৌড়ে মুরগিটাকে খুঁজতে শুরু করেন। গলির বাইরে এসে ওকে দেখতে পান, বারোটা ছানার সবগুলো প্রচণ্ড ক্লান্তি নিয়ে ওর চারপাশে ঘুরঘুর করছে।

‘বাদমাশ মুরগি!’ লাল মুরগিটাকে উঠানের দিকে ধাওয়া দিতে দিতে কৃষকের বউ বলে। ‘বাচ্চাগুলোকে নিয়ে এখনি খাঁচায় যা। পুঁচকে পাগুলো শক্ত হবার আগেই এতদূর হাঁটালে এগুলো সব মরেই যাবে। বয়স তো সবে দুদিন!’

লাল মুরগিটা ক্ষেপে ওঠে। সে ভয়ানক চেঁচাতে শুরু করে, তবে তাকে খাঁচায় ফিরে যেতে হয়। জনি আলগা শিকটাকে তারকাটা মেরে আটকে দেয়। শ্যাডো লেজ আর কান নুইয়ে তার পাশে বসে, খুব অসহায় বোধ করতে থাকে। নাকটা জনির হাঁটুতে ছোঁয়ায়। জনি ওর দিকে তাকায়।

‘হুম—আমি জানি তুমি আমাকে কী বলতে চাইছো, শ্যাডো,’ সে বলে। ‘তুমিই মুরগিটাকে ছেড়ে দিয়েছিলে, তাই না! শিকের ওপর আমি তোমার দাঁতের দাগ দেখেছি। অন্য জন্তুদের নিয়ে মাথা ঘামিও না, শ্যাডো। ওদের বন্দি থাকার, নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে। নিজের কাজে মন দাও!’

‘হুফ!’ শ্যাডো বলে, এবং তার লেজ খানিকটা নড়ে ওঠে। সে খাঁচার দিকে তাকায়। লাল মুরগিটা শুয়ে আছে, ওর সুন্দর ঝলমলে পালকগুলো ফুলেফেঁপে তার চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। একটা ছানাকেও এখন আর দেখা যাচ্ছে না। ওরা সবাই ক্লান্ত হয়ে মায়ের পালকের নিচে নিঃশব্দে ঘুমিয়ে আছে।

‘তুমি বড় ধরনের একটা ক্ষতি করতে যাচ্ছিলে, শ্যাডো,’ জনি বলল। ‘ভাগ্যিস আমি ঠিকসময় ফিরে এসেছিলাম। এবার দেখো ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু করতে পারো কিনা!’

শ্যাডো ভালো কিছু একটা করবার চেষ্টায় থাকে। কিন্তু সেরকম কিছুই খুঁজে পায় না। হাঁসেরা পুকুরে সাঁতার কাটছে, ওদের কোনো সাহায্যের দরকার নেই। খোঁয়াড়ের শুকর ছানাগুলো এতটাই ঘুম কাতুরে তারা ওর সঙ্গে কথাই বলতে পারে না। মাঠের বাছুরগুলোর কাছে গেলে ওরা তাকে দেখে দৌড়ে পালায় আর পুরনো এক্কাগাড়ি টানা ঘোড়াগুলো এতই ব্যস্ত যে ওর দিকে তাদের ফিরে দেখারও সময় হয় না। কেউ কোনো সাহায্য চায় না। ওর করার মতো কিছুই নেই।

কিন্তু পরদিন কিছু একটা ঘটে। শ্যাডো গলি দিয়ে ছুটছিল, নাক মাটির দিকে তাক করে, খুব উত্তেজিত অবস্থায় একটা খরগোশের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে। তখনই তীব্র একটা গর্জন শুনতে পায়। ভয়ে সে চারদিকে তাকায়, এবং দেখে সে এখন বাগানের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেখানে ষাঁড় পিঙ্কার রাখা ছিল। এবং কিছু একটা অনবরত তাকে প্রচণ্ড ক্ষেপিয়ে তুলছে!

সে চিৎকার ভেসে আসা ঝোঁপের কাছে এসে দাঁড়ায়। শ্যাডো দুটা ছেলেকে গলির দিকে আসতে দেখে এবং অনুমান করতে পারে ওরাই পিঙ্কারকে বিরক্ত করছিল। তাকে এভাবে গলিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পিঙ্কার ভাবতে পারে কাজটা তার এবং তার দিকে তেড়ে আসতে পারে, এটা বুঝতে পারার পর সে ওখান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।

তাই সে খামারে ফিরবার জন্য ঘুরে দাঁড়ায়। এই অবস্থায় পিঙ্কার ওকে দেখতে পায় এবং আবারও প্রচণ্ড চিৎকার জুড়ে দেয়। ষাঁড়টা নিজেকে ঝোঁপ-সমেত টানতে শুরু করে—এবং তাতে করে বেড়ার কাঁটাওয়ালা ঝোঁপটা উপড়ে যায়! পিঙ্কার সেখান দিয়ে বেরিয়ে আসে এবং গলিতে দাঁড়িয়ে, আংটা পড়া নাক দিয়ে ফোঁস-ফোঁস করতে থাকে।

শ্যাডো ষাঁড়টার দিকে তাকায়। সে পিঙ্কারের শিংগুলো দেখে এবং বুঝতে পারে একটা মানুষ যেমন খড়ের কাঁটা দিয়ে খুব সহজে আস্ত খড়ের আঁটি ছুড়ে মারতে পারে সেও তার শিং দুটা দিয়ে একইভাবে ছোট একটা কুকুরকে আকাশের দিকে ছুঁড়ে দিতে পারবে। ষাঁড়টির তীব্র চিৎকার শুনে সে ভীত হয়ে পড়ে।

ও দৌড় দেবার জন্য ঘুরে দাঁড়ায়, এবং ষাঁড়টা তার মাথা নিচু করে ওর দিকে এগিয়ে আসে। তখনই শ্যাডোর কিছু একটা মনে পড়ে। তার মনে পড়ে একটা ক্ষেপাটে ষাঁড় যাকেই সামনে পাবে তাকেই আক্রমণ করবে—এবং কয়েক মিনিটের মাথায় জনি গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরে আসবে!

হতে পারে পথে জনির সঙ্গে ষাড়টির দেখা হবে! সে ওর পেছনে দৌড়াবে এবং তাকে আকাশে ছুঁড়ে মারবে। না—এটা হতে দেয়া যায় না। জনির কোনো ক্ষতি দেখবার চাইতে বরং সে নিজেই ষাঁড়ের গুঁতো খাক! তাই হঠাৎই ছোট্ট কুকুরটি ঘুরে দাঁড়ায় এবং ফোঁস-ফোঁস করতে থাকা জন্তুটির মুখোমুখি হয়।

পর্ব ৮ পড়তে ক্লিক করো

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।