ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস

শ্যাডো দ্য শিপ-ডগ | এনিড ব্লাইটন | অনুবাদ: সোহরাব সুমন (পর্ব ১২)

অনুবাদ রচনা ~ ইচ্ছেঘুড়ি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৫
শ্যাডো দ্য শিপ-ডগ | এনিড ব্লাইটন | অনুবাদ: সোহরাব সুমন (পর্ব ১২)

এনিড ব্লাইটন (১৮৯৭-১৯৬৮)

ব্রিটিশ শিশু সাহিত্যিক এনিড মেরি ব্লাইটন ১৮৯৭ সালে দক্ষিণ লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। এনিড ব্লাইটন শিশুদের জন্য প্রচুর বই রচনা করেছেন।

তার চল্লিশ বছরের জীবন কালে তিনি প্রায় আটশ’রও বেশি বই লিখেছেন। লেখার বিষয় হিসেবে বেশির ভাগ সময়ই তিনি শিশুতোষ রোমাঞ্চ, রহস্য বা জাদু আশ্রয়ী কল্পনাকে বেছে নিয়ে ছিলেন।

তার উল্লেখযোগ্য গল্পসমূহ হলো: দ্য ফেমাস ফাইভ, দ্য সিক্রেট সেভেন, দ্য ফাইভ ফাইন্ড-কোয়াটার্স, নোডি, দ্য উইসিং চেয়ার, মালোরি টাওয়ার্স, এবং সেন্ট ক্লারে।

তার লেখা বইসমূহ সাংঘাতিক রকমের সফলতা অর্জন করে। এপর্যন্ত তার বই নব্বইটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার বই আজও পাঠক সমাদৃত, এপর্যন্ত তার বইয়ের ছশ’ মিলিয়েনরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।

ইনডেক্স ট্রান্সলেশনামের মতে ২০০৭ সালে ব্লাইটন বিশ্বের পঞ্চম জনপ্রিয় লেখক, তাদের এই তালিকায় লেনিনের পর এবং শেক্সপিয়েরের আগে ব্লাইটনের নাম ঠাঁই পায়। ১৯৬৮ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

শ্যাডো দ্য শিপ-ডগ

এই বইয়ের গল্প খামারে জন্মানো শিপ-ডগ প্রজাতির এক কুকুর, শ্যাডোকে নিয়ে। খামারের শিপ-ডগ জেসির তিনটি বাচ্চা হয়। যার দুটি বিক্রি করে দেয়া হয়, পরে তৃতীয়টিকেও বিক্রি করা হয়, কিন্তু সেটি বারবার ফিরে আসায়, শেষ পর্যন্ত কৃষকের ছেলে জনিকে তা রাখবার অনুমতি দেয়া হয়, এই শর্তে যে খামারের অন্যান্য কুকুরদের মতোই তাকেও জীবিকার জন্য খামারে কাজ করতে হবে।

জনি তার এই কুকুরের নাম দেয় শ্যাডো। সব সময় সে ওর সঙ্গে থাকে। বাচ্চাটিকে সে নিজেই প্রশিক্ষণ দেয়। খামারের কুকুর জেসি বাড়ি, এর আশপাশ এবং উঠান পাহারা দেয়। টিঙ্কার, রাফে, ড্যান্ডি ভেড়া রাখার কাজ করে। ওরা সবাই শিপ-ডগ প্রজাতির কুকুর। রাখাল এন্ডি’র কুকুর বব শঙ্কর প্রজাতির হলেও তাকেও ভেড়া রাখার কাজ করতে হয়। খামারের সব কুকুরের কাছ থেকেও শ্যাডো বিভিন্নভাবে আরো অনেক কিছু শেখে। তারপর একদিন এমন সময় আসে, যখন শ্যাডোর এইসব দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং সাহসিকতা জনির জীবন রক্ষায় বারবার কাজে আসে।



পর্ব ১১ পড়তে ক্লিক করো

দুজন চলে যায়। শ্যাডো তার নাক মাটিতে রেখে ড্যান্ডির পায়ের ছাপ শুঁকতে থাকে। জনি দেখতে পায় সে তা পেয়ে গেছে, এবং অনুসরণ শুরু করে দিয়েছে। পাহাড় থেকে নেমে এগোতে থাকে—এবং গলির ভেতর—এবং কোণার দিকটা ঘুরে—এবং সেখানেই ওরা ড্যান্ডির দেখা পায়।

অসহায় ড্যান্ডি! সে এক পা উঁচু করে ধূলামাখা গলির ভেতর থেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে আসছে, দেখতে খুব ব্যথিত বলে মনে হচ্ছিল।

‘ড্যান্ডি! কী হয়েছে?’ জনি হতাশায় চেঁচিয়ে ওঠে। সে হাঁটু গেড়ে গলির ওপর বসে, আলতো করে থাবায় হাত রাখে। ‘ড্যান্ডি! তোমার থাবা তো ভেঙ্গে গেছে এবং রক্ত পড়ছে! তুমি কী করেছো?’



শ্যাডো চুপচাপ শুয়ে থাকে। এখনো তার পালা আসেনি। অন্য দুজনের কাজে ওর নাক গলানো উচিত নয়, ভেড়াদের মনোযোগ আকর্ষণ করাও ওর ঠিক হবে না। কিন্তু শীঘ্রই পালের কিনারা থেকে দু তিনটে ভেড়া দূরে সরে পড়তেই, টিঙ্কারের সংকেত পেয়ে শ্যাডো লাফিয়ে ওঠে। ওর কাজ হলো পালাতে থাকা কোনো ভেড়াকে ফিরিয়ে নেয়া। একটা প্রাণীকেও সে পাল ছেড়ে পালাতে দিতে পারবে না



ড্যান্ডি গোঙ্গাতে শুরু করে। শ্যাডো বিমর্ষ হয়ে শোনে। ড্যান্ডি গলি দিয়ে দৌড়োবার সময় একটা মোটর বাইক সরে এসে ওর সামনের ডান পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়! অসহায়, অসহায় ড্যান্ডি! এখন আর ও ফিরে গিয়ে কোনো ট্রেইলে ছুটতে পারবে না।

‘ওহ্, ড্যান্ডি! সবচেয়ে বড় ট্রেইলটা শিগগিরই শুরু হবে’ হতাশায় জনি বলে। ‘এতে তিনটি কুকুরকেই একত্রে কাজ করতে হবে। ওহ্, ড্যান্ডি-ড্যান্ডি! কী করে তোমার এত বড় ক্ষতি হলো!’

ড্যান্ডির লেজ নেমে আসে। ওর খুব ব্যথা হচ্ছে, এবং সেদিন আর দৌড়াতে পারবে না সেটা ভাবতেই ওর মনে প্রচণ্ড হতাশা ভর করে। জনি ওকে জল ধারার কাছে নিয়ে যায় এবং আঘাত পাওয়া থাবাটা ধুয়ে দেয়। এর বেশি ওর আর করার কিছুই নেই।

ওরা তিনজন পাহাড়ের ওপর ফিরে যেতে থাকে। কৃষক দেখতে পায় ওরা ফিরে আসছে, এবং ড্যান্ডিকে খোঁড়াতে দেখে আৎকে ওঠে। সে কুকুরটির থাবার দিকে তাকিয়ে থাকে।

‘টানা দু সপ্তাহ ও তো আর একরত্তিও দৌড়াতে পারবে না। ’ জনির বাবা বলে। ‘খুব একটা ক্ষতি হয়নি—তবে ট্রেইলের বাকিটা থেকে বাদ দেবার জন্য যথেষ্ট। আমার তিনটে কুকুর আজকে তিন কুকুরের ট্রেইল জিতবে সেটা মনে মনে ভেবে রেখে ছিলাম!’ হতাশায় শ্যাডোর লেজ নেমে আসে। কিন্তু হঠাৎই ওর হৃদপিণ্ডটা সত্যি সত্যি অতি দ্রুত লাফাতে শুরু করে—কারণ জনি তার বাবাকে সবচাইতে উত্তেজনাকর কিছু একটা বলছে।

‘বাবা! শ্যাডোই তাহলে তৃতীয় কুকুর হোক! আমি জানি এখনো ও পুরোপুরি বড় হয়ে ওঠেনি, এবং জানাশোনার দিক দিয়ে অন্যদের সমকক্ষ নয়—কিন্তু ও খুবই ধী-শক্তি সম্পন্ন, এবং খুবই ক্ষিপ্র। অন্যরা যা বলবে ও তাই করতে পারবে, আমি জানি ও পারবে। শ্যাডো তুমি কি পারবে না, সোনা?’

সে কি পারবে! লেজ আর গোঁফ, শ্যাডো নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছে না! কৃষক নিশ্চয়ই তাকে তিন কুকুরের ট্রেইলে যেতে দেবে না!

কৃষক ব্যগ্র ছোট কুকুরটির দিকে তাকায়। শ্যাডোও তার বাদামী চোখ দিয়ে তার দিকে বিশ্বস্ত ভঙ্গিতে তাকিয়ে, সে যা বলবে তা করার জন্য প্রস্তুত থাকে। টিঙ্কার ঘেউ ঘেউ করে। রাফে ওয়াফ করে ওঠে। দুটা কুকুরই চায় শ্যাডো ওদের সঙ্গে কাজ করুক।

‘ভালো—ও চেষ্টা করে দেখুক না, তাতে আমি দোষের কিছু দেখছি না,’ অবশেষে কৃষক বলেন। ‘অন্তত, ম্যাচ হারবার চাইতে খারাপ কিছু ঘটবে না! তিনটে চমৎকার কুকুর নিয়ে আমি কখনোই এই ট্রেইলে হারিনি, এবং দুবার আমরা পুরস্কার জিতেছি। এবার আমাদের জেতার কিছুই নেই—কিন্তু যেকোনভাবেই হোক না কেন, আমি বলতে সক্ষম যে আবারও আমি আমার কুকুরদের ট্রেইলে প্রবেশ করাচ্ছি। ’

আনন্দ আর উত্তেজনায় শ্যাডো নিজেকে স্থির রাখতে পারে না। রাফে এবং টিঙ্কার ওকে সংক্ষেপে কিছু একটা বলে। ‘তোমার কাজ হলো আমার আর রাফের ওপর চোখ রাখা,’ টিঙ্কার বলল। ‘আমার চোখের এক টুসকিতে বুঝে নেবে আমি তোমাকে কোথায় যেতে বলছি। লেজের এক দুলুনিতে বুঝে নেবে কখন শুয়ে অপেক্ষা করতে হবে বা সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসতে হবে। মাথা খাটাবে, তোমার ক্ষিপ্র পা, চোখ, এবং বোধ শক্তি কাজে লাগাবে। ’

‘সর্বোত চেষ্টা করবে, ছোট্ট ছানা,’ টিঙ্কার বলে। ‘আমরা জিতব না ঠিকই—তবে সুন্দর একটা খেলা দেখাতে পারব। ’

সময় হয়ে আসে। শ্যাডো রাফে এবং টিঙ্কারের সাথে এতটাই গর্ব নিয়ে দৌড়াতে শুরু করে, যেন ওর মনে হচ্ছিল এরই মধ্যে ও একেবারে ফেটে গিয়েছে। তিনটে কুকুরকে একটা খোঁয়াড় থেকে বড় একটা ভেড়ার পালকে বের করে নিয়ে গিয়ে, মাঠের একেবারে শেষ প্রান্তে অন্য একটা খোঁয়াড়ে নিয়ে রেখে আসতে হবে। এরপর পালটিকে দুটি দলে ভাগ করে তার একটিকে আবার আগের খোঁয়াড়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্দেশ দেবার জন্য কৃষকও তাদের সঙ্গে যাবে, বুদ্ধিমান কুকুর হওয়ায়, বলার আগে ওরা এসবের কিছুই করে না।

কৃষক চিৎকার করে সংক্ষিপ্ত নির্দেশ দেন। কুকুরগুলো আলাদা হয়ে যায়। রাফে খাঁচার ভেতর ঢোকে। টিঙ্কার প্রবেশ পথে অপেক্ষা করে। শ্যাডোও খুব একটা দূরে নয়, সে তার কাজটুকু করতে প্রস্তুত।

রাফে তাড়া করে ভেড়াগুলোকে বের করে আনে। ওরা দল বেঁধে বেরিয়ে এসে, ভীত হয়ে চেঁচাতে শুরু করে। ওরা মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে চায়, কিন্তু টিঙ্কার ওদের জন্য অপেক্ষায় আছে। সে পালটিকে ঘিরে বারবার করে দৌড়ে, ওদের একত্রে রাখে, একই সঙ্গে রাফে পেছন থেকে শব্দ করতে থাকে।

শ্যাডো চুপচাপ শুয়ে থাকে। এখনো তার পালা আসেনি। অন্য দুজনের কাজে ওর নাক গলানো উচিত নয়, ভেড়াদের মনোযোগ আকর্ষণ করাও ওর ঠিক হবে না। কিন্তু শীঘ্রই পালের কিনারা থেকে দু তিনটে ভেড়া দূরে সরে পড়তেই, টিঙ্কারের সংকেত পেয়ে শ্যাডো লাফিয়ে ওঠে। ওর কাজ হলো পালাতে থাকা কোনো ভেড়াকে ফিরিয়ে নেয়া। একটা প্রাণীকেও সে পাল ছেড়ে পালাতে দিতে পারবে না।

শ্যাডো কিভাবে কাজ করল! সে ভেড়ার দিকে নজর রাখে, সংকেতের আশায় সে টিঙ্কার এবং রাফের দিকে দৃষ্টি রাখে, নির্দেশের জন্য কৃষকের দিকে চোখ রাখে। ওর তরুণ মন এখন খুবই পরিষ্কার, পা খুবই ক্ষিপ্র, এবং তীক্ষ্ণ চোখজোড়া সব কিছু দেখবার উপযোগী—এবং সব কিছু সে খুব মজার সঙ্গে উপভোগ করে!

তিনটে কুকুর তাদের ভেড়াগুলোকে মাঠের অপর পাশে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ওদের খাঁচায় ঢোকানো ওদের জন্য অনেক সহজ হয়ে পড়ে, কেননা ভেড়ারা এরইমধ্যে জেনে গেছে তিনটে কুকুর মিলেমিশে অতি নিখুঁতভাবে কাজ করছে এবং ওরা বুঝতে পারে তাদেরকে এখন এদের কথামতোই কাজ করতে হবে। ওরা খোঁয়াড়ে ঢুকে পড়ে। কৃষক বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে।

সে তার হাতে ঢেউ খেলায়। রাফে এবং টিঙ্কার পালটিকে দুটা ভাগে ভাগ করতে খোঁয়াড়ে ঢোকে। এটা সত্যিই কঠিন একটা কাজ—এবং শ্যাডোর কাজটাও কম কঠিন নয়। বাকি দুজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাল থেকে বেরিয়ে আসা দলছুট ভেড়াদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাকে।

শ্যাডো চমৎকার কাজ করছে। সে আত্মবিশ্বাস টের পায়। ছোট করে ওয়াফ বলে, রাফে এবং টিঙ্কার কী বোঝাতে চাইছে তার সঠিক মানে ওর জানা। নিজেকে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে সুখী মনে হয়।

এরপর টিঙ্কার আর রাফে পালের একটি অংশকে নিয়ে প্রথম খোঁয়াড়ের দিকে ফিরে যায়—এবং শ্যাডো অন্য খোঁয়াড়ে বাকি অর্ধেকের পাহাড়ায় থাকে। এটা খুব সহজ। ওকে কেবল চুপচাপ শুয়ে ওদের ওপর নজর রাখতে হচ্ছে।

বুদ্ধিমান তিনটি কুকুর দেখতে পেয়ে সবাই সমানে তালি দিয়ে আনন্দে চেঁচাতে শুরু করে। এরপর এই একই কাজ আরো অনেক কুকুর করে দেখায়—কিন্তু কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকে না যে রাফে, টিঙ্কার এবং শ্যাডোই সবার সেরা!

‘ওই তিনটে কুকুর একত্রে মিলেমিশে একটি কুকুরের মতোই কাজ করেছে,’ জনির বাবার হাতে বিশাল রুপার কাপটি তুলে দেবার সময়, বিচারক বলেন। ‘এমন ভালো একটি দল দেখবার সৌভাগ্য আমার আগে কখনো হয়নি। ’

আনন্দ আর আত্মতৃপ্তি নিয়ে শ্যাডো জনির পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। জনিও, এতটাই গর্ববোধ করে যে আনন্দে তার গাল বেয়ে চোখের জল নামতে শুরু করে, এবং বিস্ময়ে সে বলে ওঠে, ‘ওহ্, মা! আমি কিন্তু সত্যি সত্যি কাঁদছি না, তবে নিজেকে এতটাই সুখী মনে হচ্ছে যে আমি এটা আটকেও রাখতে পারছি না!’

তার মা, তাকে জড়িয়ে ধরে এবং শ্যাডোকেও জড়িয়ে ধরে। ‘তোমরা দুজনেই সুখী হবার যোগ্য!’ তিনি বলেন। ‘ভালো বুড়ো শ্যাডো! কে ভাবতে পেরেছিল যে তোমার মতো আজব একটা পুঁচকে কুকুর ছানা এমন একটা প্রকাণ্ড মহান কুকুরে পরিণত হবে!’

পর্ব ১৩ পড়তে ক্লিক করো

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।