ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস

শ্যাডো দ্য শিপ-ডগ | এনিড ব্লাইটন | অনুবাদ: সোহরাব সুমন (পর্ব ২৩)

অনুবাদ রচনা ~ ইচ্ছেঘুড়ি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
শ্যাডো দ্য শিপ-ডগ | এনিড ব্লাইটন | অনুবাদ: সোহরাব সুমন (পর্ব ২৩)


এনিড ব্লাইটন (১৮৯৭-১৯৬৮)

ব্রিটিশ শিশু সাহিত্যিক এনিড মেরি ব্লাইটন ১৮৯৭ সালে দক্ষিণ লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। এনিড ব্লাইটন শিশুদের জন্য প্রচুর বই রচনা করেছেন।

তার চল্লিশ বছরের জীবন কালে তিনি প্রায় আটশ’রও বেশি বই লিখেছেন। লেখার বিষয় হিসেবে বেশির ভাগ সময়ই তিনি শিশুতোষ রোমাঞ্চ, রহস্য বা জাদু আশ্রয়ী কল্পনাকে বেছে নিয়ে ছিলেন।

তার উল্লেখযোগ্য গল্পসমূহ হলো: দ্য ফেমাস ফাইভ, দ্য সিক্রেট সেভেন, দ্য ফাইভ ফাইন্ড-কোয়াটার্স, নোডি, দ্য উইসিং চেয়ার, মালোরি টাওয়ার্স, এবং সেন্ট ক্লারে।

তার লেখা বইসমূহ সাংঘাতিক রকমের সফলতা অর্জন করে। এপর্যন্ত তার বই নব্বইটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার বই আজও পাঠক সমাদৃত, এপর্যন্ত তার বইয়ের ছশ’ মিলিয়েনরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।

ইনডেক্স ট্রান্সলেশনামের মতে ২০০৭ সালে ব্লাইটন বিশ্বের পঞ্চম জনপ্রিয় লেখক, তাদের এই তালিকায় লেনিনের পর এবং শেক্সপিয়েরের আগে ব্লাইটনের নাম ঠাঁই পায়। ১৯৬৮ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

শ্যাডো দ্য শিপ-ডগ

এই বইয়ের গল্প খামারে জন্মানো শিপ-ডগ প্রজাতির এক কুকুর, শ্যাডোকে নিয়ে। খামারের শিপ-ডগ জেসির তিনটি বাচ্চা হয়। যার দুটি বিক্রি করে দেয়া হয়, পরে তৃতীয়টিকেও বিক্রি করা হয়, কিন্তু সেটি বারবার ফিরে আসায়, শেষ পর্যন্ত কৃষকের ছেলে জনিকে তা রাখবার অনুমতি দেয়া হয়, এই শর্তে যে খামারের অন্যান্য কুকুরদের মতোই তাকেও জীবিকার জন্য খামারে কাজ করতে হবে।

জনি তার এই কুকুরের নাম দেয় শ্যাডো। সব সময় সে ওর সঙ্গে থাকে। বাচ্চাটিকে সে নিজেই প্রশিক্ষণ দেয়। খামারের কুকুর জেসি বাড়ি, এর আশপাশ এবং উঠান পাহারা দেয়। টিঙ্কার, রাফে, ড্যান্ডি ভেড়া রাখার কাজ করে। ওরা সবাই শিপ-ডগ প্রজাতির কুকুর। রাখাল এন্ডি’র কুকুর বব শঙ্কর প্রজাতির হলেও তাকেও ভেড়া রাখার কাজ করতে হয়। খামারের সব কুকুরের কাছ থেকেও শ্যাডো বিভিন্নভাবে আরো অনেক কিছু শেখে। তারপর একদিন এমন সময় আসে, যখন শ্যাডোর এইসব দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং সাহসিকতা জনির জীবন রক্ষায় বারবার কাজে আসে।



পর্ব ২২ পড়তে ক্লিক করো

তেরো. জনি এবং জিপসি

শ্যাডো বড় হয়ে সুন্দর এক লোমশ কুকুর এবং মেষ পাহারায় দক্ষ হয়ে ওঠে। তার মাথার চুলগুলো এখন খুব মসৃণ আর চকচকে, কান দুটা সব সময়ই সচকিত, এবং লম্বা পালক সদৃশ পরিপাটি লেজটি দোল খাবার জন্য সব সময়ই এদিক ওদিক নড়তে থাকে।

জনি তার সব কিছুর মাঝে কেবল শ্যাডোকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি গর্ব করে।

‘তুমি কি তোমার নতুন ক্লকওয়ার্ক রেলওয়ের চেয়েও ওর জন্যে বেশি গর্ব করতে পারো?’ বিস্ময়ে, হ্যারি জানতে চায়। হ্যারির এধরনের রেলওয়ে নেই; এমনকি ট্রেনও না, এবং তার মতে জনির রেলপথ আর ট্রেনটা খুবই চমৎকার যা সে আগে কখনো দেখেনি। ‘এমন একটা বিশ্রী প্রশ্ন তুমি আমাকে কী করে করতে পারলে!’ শ্যাডোকে কাছে টেনে নিয়ে সে বলে। ‘কেন, শ্যাডো তো জীবন্ত একটা প্রাণী এবং ও আমার সঙ্গে খেলতেও পারে। ও আমাকে ভালোবাসে এবং আমিও ওকে ভালোবাসি। রেলপথটা জীবন্ত না হলেও ওটা আমার খুবই পছন্দের, কিন্তু আমি সেটাকে ভালোবাসতে পারি না! তুমি কি তোমার কুকুরকে ভালোবাসো না, হ্যারি?’ ‘ঠিক ধরেছ, আমার এমন কোনো কুকুর নেই যেটাকে আমি পুরোপুরি নিজের বলে দাবি করতে পারি’ হ্যারি বলে, ‘আমাদের খামারে অসংখ্য কুকুর আছে—তবে ওরা সবাই আমার কাছে সমান। ’



‘আমার মতে রাফে একটা চমক’, সে কৃষককে বলে, ‘আর ড্যান্ডি বাতাসের বেগে ছুটতে সক্ষম। বুড়ো ববও অনেক চমক দেখাতে সক্ষম—আমার প্রতিটা কথা সে বুঝতে পারে—এবং টিঙ্কারের মতো শক্ত-সমর্থ কুকুর এর আগে আমার কখনোই ছিল না। কিন্তু শ্যাডো! ও একটা অলৌকিক কুকুর। আজকাল যদি ভেড়া রাখার সময় ওকে একবার দেখতেন, স্যার। আপনি তাহলে অবাক হয়ে যেতেন। ’ তাই একথা শুনে কৃষক তা দেখবার আগ্রহ প্রকাশ করেন, এবং রাখাল তার জানা সব কাজ শ্যাডোকে দিয়ে করাতে শুরু করে। সে তাকে বিশেষ একটা ভেড়া খুঁজে আনতে বলে



‘তুমি নিজে একটা ছানা পুষে দেখো আর তখন দেখবে কুকুর সম্পর্কে তোমার ধারণাই বদলে যাবে,’ জনি বলে, ‘তখন বুঝবে কেন, আমি শ্যাডোকে ছাড়া থাকতে পারি না—পারি কি, শ্যাডো, বুড়ো সোনা?’

শ্যাডো খুব করে লেজ নাড়ে। জনি তাকে ছাড়া থাকতে পারে না কথাটা শোনার পর সে খুব খুশি হয়। সে ভালো করেই জানে তার নিজেরও জনিকে ছাড়া চলে না!

এখন ভেড়া নিয়ে কাজ করে এমন কুকুরদের মাঝে শ্যাডো সবচাইতে বুদ্ধিমান। মেষপালক রাখাল সব সময়ই তার প্রশংসা করে।

‘আমার মতে রাফে একটা চমক’, সে কৃষককে বলে, ‘আর ড্যান্ডি বাতাসের বেগে ছুটতে সক্ষম। বুড়ো ববও অনেক চমক দেখাতে সক্ষম—আমার প্রতিটা কথা সে বুঝতে পারে—এবং টিঙ্কারের মতো শক্ত-সমর্থ কুকুর এর আগে আমার কখনোই ছিল না। কিন্তু শ্যাডো! ও একটা অলৌকিক কুকুর। আজকাল যদি ভেড়া রাখার সময় ওকে একবার দেখতেন, স্যার। আপনি তাহলে অবাক হয়ে যেতেন। ’

তাই একথা শুনে কৃষক তা দেখবার আগ্রহ প্রকাশ করেন, এবং রাখাল তার জানা সব কাজ শ্যাডোকে দিয়ে করাতে শুরু করে। সে তাকে বিশেষ একটা ভেড়া খুঁজে আনতে বলে, এবং শ্যডো তখনই সেটা নিয়ে আসে। তারপর রাখাল তাকে সেটাকে কাছের একটা বনে নিয়ে যেতে বলে। শ্যাডো জিহ্বা বের করে, লেজ নাড়তে নাড়তে, মেষপালকের দিতে তাকিয়ে থাকে, তার উজ্জ্বল চোখ জোড়া চকচক করছে।

‘ঠিক আছে, চালিয়ে যাও,’ রাখাল বলে, ‘আমার মনে হয় তুমি হয়ত ভাবছো আজ সকালে আমি পাগল হয়ে গেলাম কিনা, খামখাই তোমাকে দিয়ে এসব করাচ্ছি—তবে আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত, তা কি বুঝতে পারছো?’

শ্যাডো তাই ভেড়াটিকে নিয়ে বনের দিকে যায় এবং সেটাকে ভয় না পাইয়ে আবার ফিরিয়ে এনে পালের মাঝে রাখে। কাজটা কেবল শ্যাডোই নিখুঁতভাবে করতে পারে। সে ভেড়াদের নিজের ইচ্ছে মতো চালাতে পারে—এবং ভেড়ার সবচেয়ে ছোট বাচ্চাটিও তাকে ভয় করে না।

‘আমার কোটটা আমি পাহাড়ের ওপাশে রেখে এসেছি,’ শ্যাডোর দিকে না তাকিয়েই রাখাল কৃষক কথাটা বলে, যে কিনা তখন পরবর্তী নির্দেশের আশায় তার কাছে এসেছিল। শ্যাডো লেজ নাড়ে।

‘ভারি বিপদে পড়া গেল,’ কৃষকের সঙ্গে আলাপ করতে করতে, রাখাল বলে ওঠে, ‘কোটটা আমার চাই। ’

শ্যাডো তখনই ছুটতে শুরু করে। কৃষক রাখালের দিকে তাকান। ‘মনে তো হয় না তুমি ওকে সেটা নিয়ে আসতে বলেছো, কারণ আমাকে বলার সময়ই শুধু ও কথাটা শুনেছে, তাই না?’ তিনি অবাক হয়ে বলেন, ‘কেন, এমনকি তুমি কুকুরটির দিকে তাকাওনি পর্যন্ত!’
‘বলছি শুনুন, এই কুকুরটিকে আপনার কিছু বলার দরকার হবে না—আপনার কী দরকার তা সে বুঝতে পরলেই হলো এবং তখনই সেটা করতে শুরু করে দেবে,’ ভেড়ার রাখাল বলে। ‘আপনি দেখবেন—আধ সেকেন্ডের মধ্যেই ও কোটটা মুখে নিয়ে ফিরে আসবে!’

অবশ্য পাহাড়ের ওপর শ্যাডোর দেখা পেতে আধ সেকেন্ডের কিছু বেশি সময় লাগলেও, দু’মিনিটের আগে কাজটা করা আদৌ সম্ভব নয়!

সে রাখালের চারপাশে বেশ কয়েকটা চক্কর মারে এবং কোটটা তার পায়ের কাছে শুইয়ে রাখে।

‘ওকে দেখুন!’ এন্ডি বলে, ‘বয়ে আনার আগে ওটা পাকানোর কাণ্ডজ্ঞানও ওর রয়েছে। সে জানে আনবার সময় ওটা মাটিতে লাগতে পারে এবং যথেষ্ট দূরে রাখতে না পারলে দ্রুত আনতে গিয়ে তা পায়ে জড়িয়ে যেতে পারে। আমি আপনাকে বলেছি, ও একটা অলৌকিক কুকুর!’

কৃষকও রাখাল এবং জনির মতো শ্যাডোকে নিয়ে গৌরব অনুভব করে। খামার থেকে খামারে যাতায়াতের সময় সবার কাছে সে ওর কথা বলে বেড়াতে থাকে, এবং শীঘ্র আশপাশের গ্রামে বুদ্ধিমান এই ভেড়া রাখার কুকুরটির কথা ছড়িয়ে পড়ে।

আর একারণেই শ্যাডোর জীবনে অভিনব এক দুর্ঘটনা ঘটে।

একদল জিপসি হঠাৎই গ্রামে এসে হাজির হয়, এবং নদীর কাছে একটা চারণভূমিতে ছাউনি ফেলবার জন্য জনির বাবার কাছে অনুমতি চায়।

কৃষক তাদের অনুমতি দেন না। ‘না,’ তিনি বলেন, ‘গতবার আমার জমিতে জিপসিদের থাকতে দেবার পর ওরা আমার মুরগি চুরি করে এবং বেড়ায় আগুন ধরিয়ে দেয়। তোমরা আমার খামারে ছাউনি ফেলতে পারবে না। ’

জিপসিদের পক্ষ থেকে খামারির সঙ্গে কথা বলতে আসা লোকটা তার দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকায়। লোকটার গায়ের রঙ কালচে বাদামী আর চুল কোঁকড়া, জ্বলজ্বলে চোখ জোড়া দুষ্টুমিভরা, কানে চকচকে সোনার দুল। লোকটা ঘুরে দাঁড়ায় এবং টু শব্দটিও উচ্চারণ না করে চলে যায়।

কিন্তু সেই রাতে, জনি শ্যাডোকে নিয়ে চারণভূমির ওপর দিয়ে হেঁটে আসার সময় দেখে, পাঁচ ছয়টি জিপসি তাঁবু তার বাবার বারণ করা জায়গাতেই ছাউনি গেড়েছে!

‘এই!’ ক্ষুব্ধ হয়ে জনি বলে। ‘আমার বাবা কি তার জমিতে তাঁবু গাড়তে তোমাদের নিষেধ করেননি?’
‘এটা কি উনার জমি?’ চেহারায় বিস্ময় ফুটিয়ে তুলে, জিপসি জিজ্ঞেস করে।
‘তোমরা মাতালরা সেটা খুব ভালো করেই জানো!’ জনি চেঁচিয়ে ওঠে, ‘ভালো চাও তো জলদি এসব তুলে ফেলো। আমার বাবা এক কথার লোক!’

জিপসিটা হেঁটে জনির কাছে আসে, এবং কুৎসিত মুখটা বাঁকিয়ে তাকিয়ে থাকে। শ্যাডো গর্জে ওঠে।

লোকটা থামে। ‘ভালো করবে যদি এরচেয়ে কাছে না আসো,’ জনি সতর্ক করে, ‘কাজটা করলে শ্যাডো উড়ে গিয়ে তোমার উপর পড়বে। ’
জিপসি কুকুরটির দিকে তাকায়, এবং তার চোখের চাহনি ধারালো হয়ে আসে। ‘সবাই যে কুকুরটির কথা বলে বেড়াচ্ছে এটাই কি সেটা?’ সে জিজ্ঞেস করে।
‘হতে পারে। ’ জনি বলে, ‘তুমি ওর সঙ্গেও কথা বলতে পারবে, যদি তোমাকে দাঁতের নাগালে পায়! তোমার আচার আচরণ ওর মোটেই পছন্দ হচ্ছে না, বসো, শ্যাডো, বসে থাকো!’
শ্যাডো লোকটির দিকে লাফিয়ে তেড়ে আসে, সে দ্রুত সরে যায়। ‘তোমার কুকুর থামাও,’ সে বলে। আমার দিকে তেড়ে আসা যেকোন কুকুরকে আমি খুন করি!’
‘শ্যাডো নস্যি একটা জিপসির হাতে খুন হতে পারে না!’ অবজ্ঞায় জনি বলে। ‘ও খুবই ক্ষিপ্র। এবার ভালোয় ভালোয় বাবা আসার আগেই জলদি তাঁবু গুটিয়ে এখান থেকে দূর হও। ’

লোকটি আবারও কোপন দৃষ্টিতে তাকায় এবং চলে যাবার আগে শেষবারের মতো শ্যাডোকে দেখে নিয়ে তাঁবুতে ফিরে যায়। জনি শ্যাডোকে উদ্দেশ্য করে শিস দেয় এবং দুজনে বাড়ি ফিরে আসে।

‘বাবা, জিপসিরা শেষ পর্যন্ত আমাদের জমিতেই তাঁবু গেড়েছে,’ সেদিন রাতে জনি বলে, ‘আমি ওদের চলে যেতে বলেছি। জিপসিরা এমন ভান করছে, যেন ওরা জানেই না এটা তোমার জমি। ’
‘ঠিক আছে, কালকে ওরা সেটা ঠিক ঠিক জানতে পারবে, যদি ততক্ষণ পর্যন্ত ওখানে থেকে থাকে! কৃষক অল্প কথায় বলে।

পরদিন সকালে ছাউনিটা ওখানেই থাকে, এবং শ্যাডো আর রাফেকে সঙ্গে নিয়ে কৃষক ওদের সাথে কথা বলতে যান।

‘সন্ধ্যের আগেই আমার জায়গা খালি করবে,’ তিনি নির্দেশ দেন, ‘তোমরা কি আমার কথা বুঝতে পারছো?’
‘হ্যাঁ’ আগের রাতে জনির সঙ্গে কথা বলা সেই একই লোক বলে। ‘তবে এর জন্য আপনাদের সবাইকে পস্তাতে হবে!’
‘ওহ! তাহলে যাবার আগে কিছু একটা ক্ষতি করার কথা ভাবছো, তাই না?’ সঙ্গে সঙ্গে কৃষক বলে ওঠে, ‘জিপসিদের আমি ভালো করেই চিনি! ঠিক আছে, আমি কাউকে এখানে পাহারায় রেখে যাচ্ছি—এবং কেউ আমার ফসলের, আমার ঝোপ-জঙ্গল বা বেড়ার ক্ষতি করতে চেষ্টা করলে, তার জন্য তোমাদের অনেক বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হবে। ’

তিনি শিস দিয়ে শ্যাডোকে ডাকেন, এতক্ষণ সে তার চারপাশেই ঘুরঘুর করছিল। ‘শ্যাডো! জায়গাটা পাহারা দিবে! দেখবে কোনো জিপসি যাতে আমার কোনো জিনিসের ক্ষতি করতে না পারে!’

শ্যাডো কৃষকের কঠোর মুখের দিকে তাকায়। লেজ নাড়ে। কী করতে হবে সব কিছু তার খুব ভালো করেই জানা আছে। কাজটা সে করবেও! কোনো জিপসি কৃষকের সম্পত্তির ক্ষতি করতে আসলে তার কপালে দুর্যোগ নেমে আসবে! ওদের সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য তার শ্যাডোই যথেষ্ট।

পর্ব ২৪ পড়তে ক্লিক করো

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
টিকে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।