ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

জমে উঠেছে ফুলকি-বিজয় ডিজিটাল শিশু শিক্ষামেলা

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৬
জমে উঠেছে ফুলকি-বিজয় ডিজিটাল শিশু শিক্ষামেলা

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগে জমে উঠেছে ‘ফুলকি-বিজয় ডিজিটাল শিশু শিক্ষামেলা-২০১৬’। তিনদিনের এ মেলার শিশুশিক্ষার নানা উপকরণ এবং চিরচেনা বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য প্রদর্শনী আর খেলাধুলাসহ মজার মজার আয়োজন মাতিয়ে রাখছে এলাকার শিশু-কিশোর ও অভিভাবকদের।



শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) মেলার দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বিকেল তিনটা থেকে। মেলার স্টলগুলোতে ভিড় বাড়ছে। আর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নিচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ শিশু-কিশোররা।

শিশুর মেধা বিকাশে সহায়তা করতে ফুলকি নার্সারি স্কুলের আয়োজনে নিজস্ব ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে মেলাটি, চলবে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত।

প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলায় রয়েছে বিজয় ডিজিটাল শিশুশিক্ষার প্রদর্শনী, সিসিমপুর, শিশুদের শিক্ষার ডিজিটাল ডিভাইস প্রদর্শনী, থ্রি-ডি মুভি, শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব। আরো রয়েছে ম্যাজিক শো’, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, ঘোড়ার গাড়িতে ভ্রমণ, বায়স্কোপ, জোকার, যেমন খুশি তেমন সাজো, মুকাভিনয়, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বইমেলা, বাংলার কৃষ্টি ও কালচার নিয়ে ফ্যাশন শো’, শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে নাচ, গান, আবৃত্তিসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং র‌্যাফেল ড্র।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।  

ডিজিটাল শিক্ষা শিশুদের অধিকার বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের শিশুরা যখন প্রযুক্তির হাত ধরে শিক্ষা গ্রহণ করছে, আমাদের শিশুরা কেনো পিছিয়ে থাকবে? যুগের চাহিদার সঙ্গে ডিজিটাল শিক্ষা শিশুদের অধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উদ্বোধনী আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন শিশু সংগঠক ও ফুলকি নার্সারি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তরিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিশুরা এখন আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা গ্রহণ করছে। এখন শিশুরা বিদ্যালয় থেকে বাসায় ফিরে যেতে চায় না।    

বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার হুমায়ুন রশিদ জনি, প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার সেলিম জাহিদ, বিজয় ডিজিটালের ব্যবস্থাপক জেসমিন জুঁই এবং মিরপুর ইংলিশ ভার্সন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ইয়াহিয়া খান রিজন। আলোচনায় আরও অংশ নেন আলিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও লেখক এ বি এম মিজানুর রহমান এবং মালকোষ সংগীত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এস এম সলিমুল্লাহ মুরাদ।

স্কুলের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক উম্মে রোমান জয়া স্বাগত সম্ভাষণ জানান। তিনি বলেন, শিশুর মেধা বিকাশের লক্ষ্যে তিনদিনের এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অপূর্ব এ আয়োজনে সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ কামনা করে তিনি বলেন, শিশুরা এতে অংশ নিয়ে বড় হবে আর বড়রা ফিরে যাবেন হারানো শৈশবে।

সমস্ত আয়োজন পরিচালনা  করছেন শিশু সাহিত্যিক জসিম উদ্দিন জয়। আর মেলার সমন্বয় করছেন স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল অলক সরকার অপু।

শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে রয়েছে ‘শিশু অধিকার বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও র‌্যাফেল ড্র। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার মো. হারুন-অর রশিদ মিঠু, নাট্যকার ও কথাসাহিত্যিক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ পলাশ, দৈনিক সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার অমরেশ রায়, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের আউটপুট এডিটর অশোকেশ রায় এবং দৈনিক ইত্তেফাকের শিক্ষা পাতার ইনচার্জ চন্দন বর্মণ। আলোচক থাকবেন বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের সহ সভাপতি এম আজিজুল ইসলাম এবং অন্তরঙ্গ শিশু সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ সুজন।    

মেলার সহযোগিতায় রয়েছে শিশু-কিশোর সংগঠন আগুনের ফুলকি, আনন্দ মাল্টিমিডিয়া, সিসিমপুর ও কিডম্যাট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।