ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩৪)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩৪) রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩৪)

চারটে মুরগি ডিম পেড়েছে! দারুণ তো! এবার সকালের খাবারটা খুব মজাদার হবে! পুঁচকে মেয়েটা তাড়া করে সেগুলো তুলে নেয়, তারপর, দরজাটা আগের মতোই ভিজিয়ে দিয়ে, ছুটতে শুরু করে। দ্রুত আগুন জ্বালায় এবং অন্যরা উঠে বসে চোখ রগড়ায়, পেগি তাদের ডাকে। 

এসো! সকালের খাবার খাবে! মুরগিরা সবার জন্য একটা করে ডিম পেড়েছে।
ওরা সকালের নাস্তা খেতে ছুটে আসে।

এরপর আমরা ডুব দিতে যাব, মাইক বলে। আমার খুব ইচ্ছে করছে।
আজকের মধ্যে আমাদের উইলো ঘরের কাজটা ঠিকঠাক শেষ করতে হবে, জ্যাক বলে। এবং মুগগিগুলো কী করব তাও ঠিক করতে হবে। পোষমানা এবং নতুন বাড়ি-ঘর চিনে ওঠার আগপর্যন্ত কিছুতেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। ওদের জন্য একটা ঘের বানাতে হবে।
নাস্তার পর ওরা চারজন মিলে মুরগির জন্য ছোট্ট একটা ঘর বানায়। এবারও উইলো’র ডাল পালা ব্যবহার করে এবং মুরগিরা যেন লাফিয়ে বের হতে না পারে তেমন করে শিগগির ছোট্ট একটা বেড়া বানিয়ে ফেলে। জ্যাক ফার্ন দিয়ে বসার জায়গা তৈরি করে, এই আশায় যে ওরা ওখানে ডিম পাড়বে। সামান্য বীজ ছিটিয়ে দেয় এবং মুরগিরা আগ্রহ নিয়ে খেতে থাকে। পেগি একটা বাসনে খানিকটা জল দেয়।
ওরা খুব শিগগির জেনে যাবে এটা ওদের ঘর এবং এখানে ডিম পাড়বে, জ্যাক বলে। এবার, এসো, উইলো ঘরে যাওয়া যাক! তোমরা মেয়েরা ফার্ন আর গুল্ম দিয়ে ফাঁক-ফোকর সব ভরাট করবে এবং বাড়িটাকে বাতাস আর বৃষ্টিরোধী করে তুলবে। আনন্দে ওরা নিজেদের কাজে এতটাই বুদ হয়ে যায় যে টেরই পায় না, জ্যাক আর মাইক মিলে উইলো ডাল বুনে কী চমৎকার একটা দরজা তৈরি করে ফেলেছে। ছেলেরা মেয়েদের ডাকে এবং গর্বের সঙ্গে দেখায় ওরা এতক্ষণ কী করেছে।
দরজাটা যেন ইচ্ছে মতো খোলা আর বন্ধ করা যায় সে জন্য কবজার মতো কিছু একটা দিয়ে বেড়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়! দেখতে খুবই চমৎকার! ওপরের দিকে পুরোপুরি না মিললেও তাতে কিছু যাবে আসবে না। এটা একটা দরজা- আর সেটা ইচ্ছেমতো খোলা বা বন্ধ করা যায়। দরজাটা বন্ধ কর‍ার পর উইলো ঘরের ভেতরটা খুবই অন্ধকার হয়ে আসে- তবে সেটাকেও দারুণ কিছু বলেই মনে হয়!
এতটাই ক্ষুধা আর তেষ্টা পেয়েছে যে মনে হচ্ছে আমাদের সব খাবার আমি একাই খেয়ে ফেলতে পারবো! অবশেষ মাইক বলে।
হুম, এবার আমাদের কিছু একটা খেতে হবে, জ্যাক বলে। আমাদের কাছে প্রচুর রুটি, আলু, আর সবজি আছে। চলো সামান্য সিম রান্না করা যাক। ওগুলো খেতে খুব মজা। যাও গিয়ে আমার ছিপটা দেখে এসো, মাইক, দেখো ওতে কোন মাছ পড়লো কিনা।
ওতে বড় একটা ট্রাউট পাওয়া যায় এবং মাইক রান্নার জন্য সেটা নিয়ে আসে। শিগগির ভাজার ঘ্রাণ বাতাসে ভেসে বেড়াতে থাকে এবং বাচ্চারা ক্ষুধায় সশব্দে শুঁকতে শুরু করে। মাছ, আলু, রুটি, সিম, চেরি এবং কোকার সঙ্গে জ্যাক এর টিন হতে দুধ। খুব মজাদার খাবার! 
আমি ডেইজিকে আনার কথা ভাবছি, কালকেই গরুটাকে নিয়ে আসতে চাই, জ্যাক বলে। আমাদের দুধ চাই।
আর, জ্যাক, এখন থেকে আমরা উইলো বাড়িতেও কিছু মজুদ রাখতে পারি, কী, পারি না? পেগি বলে। গুহার ভাঁড়ারে পিঁপড়ের আনাগোনা। ওটা হাতুড়ি আর তারকাটা রাখার জন্য উপযুক্ত জায়গা, এরপর থেকে আমরা উইলো বাড়িতে আমাদের খাবার দাবার রাখবো। আমরা কি উইলো বাড়িতে থাকছি, জ্যাক?
ঠিক আছে, বেশির ভাগ সময়ই তো আমরা খোলা আকাশের নিচে কাটাচ্ছি, জ্যাক বলে। তবে শীত আর বৃষ্টির রাতে এবং খারাপ আবহাওয়াতে থাকার জন্য এটা খুব ভালো একটা জায়গা। এটা আমাদের বাড়ি।
খুব চমৎকার একটা বাড়ি, নোরা বলে, সবচেয়ে সুন্দর! এভাবে থাকতে কতো মজা!

চলবে...

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।