আল-আমিন শান্ত করে। বলে, শোন, গিট্টু দা যখন উদ্যোগ নিয়েছে, তখন কিছু না কিছু হবে।
শুক্রবার সকালে মিটিং শুরু হলো। আলোচ্য বিষয় পাঠাগার প্রতিষ্ঠা। গিট্টু দা ভূমিকা ছাড়াই আলোচনা শুরু করেন। সবাই মনোযোগ দিয়ে শোন। দু’সপ্তাহ পরের শুক্রবার আমাদের পাঠাগারের উদ্বোধন হবে।
এবার ফোড়ন কাটে শান্তি। পাঠাগারই হলো না, উদ্বোধন নিয়ে চিন্তা! দাদা, আগের কথা আগে বলেন না (?) শুধু টেনশন দেন...’। এ পর্যন্ত বলে গিট্টু দা’র মুখ দেখে থেমে যায়।
চোখ বড় বড় করে বলেন, আমাকে একটু শান্তিতে বলতে দিবি?
এবার তুষার ভূমিকা নেয়, ‘সবাই চুপ; গিট্টু দা’র বলা শেষ হলে অনুমতি নিয়ে সবাই কথা বলবি। কথার মধ্যে বাগড়া দিলে খেই হারিয়ে যায়। ’
গিট্টু দা ফের শুরু করেন, ‘শোন উদ্বোধন নিয়ে বলতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু তো তা বলতে দিলি না। এবার গোড়া থেকে বলি। তোদের পরিকল্পনা আর স্লোগান আনতে বলেছিলাম। সবাই বল, কে কী ভেবেছিস?
প্রথমেই স্লোগান জমা দেয় তুষার, ‘পাঠাগারে যোগ দিন, জ্ঞানের আলো জ্বেলে নিন। ’ অমিতের স্লোগান, ‘গিট্টু ক্লাবে হাজার বই, এসো সবাই সদস্য হই। ’
অমিতের স্লোগান শুনে সবাই প্রতিবাদ করে ওঠে। ‘পাঠাগারই হলো না; তুই হাজার বই কোথায় পেলি?
অমিতের পাশে দাঁড়ান গিট্টু দা। ‘আজ নেই তো কি হয়েছে, অল্পদিনেই আমাদের হাজার বই হবে। আর বড় স্বপ্ন যদি না দেখতে পারিস তো, বড় হবি কী করে?
শান্তি লিখে এনেছে, ‘জ্ঞানের নেই ক্ষয়, পাঠাগারের হবে জয়। ’
আল-আমিন মিন মিন করে বলে, ‘গিট্টু দা, আমি স্লোগান কী হবে বুঝতে পারিনি। আজ বুঝে নিয়ে কালই স্লোগান জমা দেব। ’
আগের পর্ব:
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এএ