শিশুরা ফ্যাকাশে হয়ে আসে। ওরা নোরার দেখানো জায়গাটির দিকে তাকায় এবং নিশ্চিত হয় প্রথমবারের মতো ফার্ন পাতার নড়াচড়া দেখছে, একে একে সবাই সেটা দেখে।
কেউ একজন পাতার নিচ দিয়ে উপরে উঠে আসছে।
নোরা জ্যাককে আঁকড়ে ধরে। একটুও শব্দ করো না, জ্যাক ফিসফিস করে বলে। আমরা কোথায় আছি সেটা কারোরই জানা নেই। চুপ থাকো, নোরা। আরও কাছাকাছি এলে আমারা গুহার ভেতর ঢুকে পড়বো।
ওরা চুপচাপ বসে নবাগতের এগিয়ে আসার সঙ্গে লম্বা ফার্ন পাতার নড়াচড়া দেখতে থাকে। খুব ভয়ানক একটা মুহূর্ত। কেউ এসে কি ওদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে? তোমরা দু’জন মেয়ে, গুহার ভেতরে যাও। জ্যাক ফিসফিস করে বলে। আমার মনে হয় তোমরা ওখানে নিরাপদেই থাকবে। আমি পাহাড়ের পেছন দিক দিয়ে নেমে লোকটার পিছু নিচ্ছি, সে যেই হোক না কেন।
মেয়েরা হামাগুড়ি দিয়ে গুহার ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং ওর মুখের কাছে জন্মানো ফার্ন সরিয়ে দেখতে থাকে জ্যাক কী করছে। লোকটা হামাগুড়ি থামিয়ে পাহাড় বেয়ে ওঠার সময় জ্যাক পিছলে দূরে সরে যায়। ফার্নপাতার নড়াচড়া থেমে যায়। পাতার দুলুনি দেখার চেয়ে সেটা আরও ভয়ানক! ওহ্ প্রিয়!
এরপর ফার্নের ভেতর থেকে একটা মাথা বেরিয়ে আসে এবং নোরা তীব্র স্বরে চেঁচিয়ে ওঠে।
মাইক! সে বলে। মাইক!
ধুর, মাথামোটা কোথাকার! মাথা ঝাঁকিয়ে পেগি ফোঁস করে বলে। তোমাকে বেড়াতে আসা লোক বলে ভেবেছিলাম!
সৌভাগ্যক্রমে গ্রমোফোনটা খুব জোরে বাজছিল, তাই নোরার চিৎকার শুনতে পাওয়া যায়নি। বাচ্চা তিনটে আনন্দে মাইকের দিকে তাকিয়ে থাকে। এতোক্ষণ সেই হামাগুড়ি খেয়ে ফার্ন পাতার নিচ দিয়ে এগিয়ে আসছিল! কী শান্তি! সে ওদের দেখে দাঁত বের করে হাসে এবং আবারও ফার্নের ভেতর ডুব মারে। মাইক গুহার দিকে এগিয়ে আসার সময় আরেকবার ফার্নপাতা দুলতে শুরু করে।
ওহ্, মাইক, সে ওদের কাছে আসলে, নোরা বলে। তুমি আমাদের ভয়ানক ভড়কে দিয়েছিলে। আমরা ভেবেছিলাম তুমি ঘুরতে আসাদের একজন আমাদের দিকে আসছ!
আমি ওদের খুব কাছ থেকে দেখেছি, ওদের পাশে এসে বসে মাইক বলে। তিনজন পুরুষ আর দু’জন নারী। ওরা গোগ্রাসে খাবার গিলছে।
তোমার কী মনে হয় কথামতো দ্বীপটা কি ওরা ঘুরে দেখবে? চিন্তিতভাবে পেগি জানতে চায়।
চলবে....
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এএ