কাজটা খুঁটে খুঁটে করা উচিত ছিল, নোরা, মাইক বলে। খুব খারাপ হলো!
নেরা কান্না শুরু করে, কিন্তু কেউই তাকে সমবেদনা জানায় না।
জ্যাক ওর সঙ্গে রাগারাগি করায় নোরা আরো বেশি করে কাঁদতে থাকে। বাচ্চাদের মতো শব্দ করে বাজে কান্না বন্ধ করো! সে বলে। তুমি কি মুরগি খুঁজতে সাহায্য করতে পারো না?
তুমি আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারো না! নোরা কাঁদে।
আমার যেমন ইচ্ছে তেমন করে কথা বলবো, জ্যাক বলে। আমি এখানকার ক্যাপ্টেন, আর এখন যা বলছি তাই করো। আমাদের কেউ অসতর্ক হলে তার জন্য সবাইকে ভুগতে হবে, আর আমি সেটা হতে দিতে পারি না! কান্না থামাও, আমি বলছি, আর মুরগি খুঁজতে সাহায্য করো।
নোরা খুঁজতে শুরু করে, তবে কান্না থামায় না। ওর খুব খারাপ লাগে, সাবাই তার ওপর ক্ষেপে আছে, কেউ তার সঙ্গে একটা কথাও বলছে না তাই তার খুব লজ্জা লাগে, সে মনমরা হয়ে মুরগি খুঁজতে থাকে, কিন্তু খুঁজে পায় না।
ওরা এখানে কোথাও নেই! শেষে জ্যাক বলে। ভালো হয়, আমরা সবাই ছড়িয়ে পড়ি আর দেখি দ্বীপের কোথাও ওদের খুঁজে পাওয়া যায় কিনা। ওরা হয়তো ঘুরতে ঘুরতে অন্য কোথায় চলে গেছে। আমরা সবাই আলাদা হয়ে যাবো এবং ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় খুঁজবো। পেগি তুমি ওদিকটায় যাও, আর আমি ডেইজির কাছাকাছি খুঁজে দেখছি।
বাচ্চারা আলাদা হয়ে যায় এবং বিভিন্ন দিকে গিয়ে চিৎকার করে মুরগিগুলোকে ডাকতে থাকে। জ্যাক যেখানে দেখিয়েছে নোরা সেদিকে যায়। সেও মুরগিদের ডাকে, তবে কেউ জবাব দেয় না।
ওরা কোথায় যেতে পারে?
দুপুরবেলায় হারানো মুরগিগুলোকে খুব করে খোঁজা হয়! সত্যিই খুব অবাক ব্যাপার কেউই খুঁজে পায় না। জ্যাক এটা বুঝে উঠতে পারে না! পাহাড়ের কোথাও ওরা নেই! এমনকি আগের দিন জ্যাক ওদের যে ছোট্ট গুহার মাঝে লুকিয়ে রেখেছিল সেখানেও না, কারণ জায়গাটা সে খুব ভালো করেই দেখে এসেছে। রাজবেরি ঝোপেও ওদের পাওয়া যায় না। ডেইজির মাঠেও না। আর সব ঝোপের তলাতেও না। দেখা যায়, ওরা কোথাও নেই!
চলবে....
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এএ